সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে SSC মামলা ছাড়লেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি এবং ২০১৬ এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত সব মামলা ছাড়লেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আপাতত এই মামলা গুলিকে তালিকার বাইরে পাঠালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিক মামলা হয়েছিল। যার শুনানিতে কড়া ‘রায়’ দিয়ে আন্দোলনকারীদের ‘মসিহা’ হয়ে উঠেছিলেন বিচারপতি। আজ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, তিনি এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত কোনও মামলাই আপাতত আর শুনবেন না। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হবে ওই মামলাগুলির। ৪ ডিসেম্বর বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চে প্রথম শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
কেন এই সিদ্ধান্ত, তার কারণ জানিয়েছেন বিচারপতি নিজেই। তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই এই মামলাগুলিকে তালিকা থেকে সরানো হল। গত ৯ নভেম্বর এসএসসি সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট এসএসসি-র সমস্ত মামলা ফেরত পাঠিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। এর মধ্যে একটি মামলা হয়েছিল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের চাকরি বাতিলের একটি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে। এ ছাড়াও স্কুল সার্ভিস কমিশন(এসএসসি)-এর একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির সহকারী শিক্ষকের নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের পাশাপাশি, ওএমআর শিট প্রকাশ-সহ নানা বিষয় নিয়ে মামলা করা হয়েছিল।
সুপ্রিম কোর্ট ওই সমস্ত মামলা কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের কাছে ফেরত পাঠায়। শীর্ষ আদালত জানায়, হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করবেন। ওই বেঞ্চই মামলাগুলির শুনানি করবে। চাকরি থেকে বরখাস্ত করা থেকে শুরু করে নতুন চাকরির সুপারিশ— এই সমস্ত বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ডিভিশন বেঞ্চই।
সুপ্রিম কোর্টের ওই নির্দেশের এক সপ্তাহ পরেই হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, এসএসসি নিয়োগ মামলা শুনবে বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি সব্বার রশিদির নতুন ডিভিশন বেঞ্চ। গত শুক্রবার এই নির্দেশ দেয় হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। তার ঠিক তিন দিন পরেই মামলাগুলির শুনানি হওয়ার কথা ছিল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। সোমবার বিচারপতি এজলাসে বসার পরেই বিষয়টি উল্লেখ করেন আইনজীবীরা। এর পর এসএসসি সংক্রান্ত সমস্ত মামলা নিজের তালিকা থেকে বাইরে বার করে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
তবে প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি তাঁর এজলাসেই হবে। আগামী ২৯ নভেম্বর প্রাথমিক নিয়োগ মামলার শুনানি হবে বলে জানান বিচারপতি।