বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার চার দিনের মধ্যে ক্রিকেটে আবার দুর্নীতির ছায়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা বিশ্বকাপজয়ী মার্লন স্যামুয়েলসকে ছ’বছরের জন্য নির্বাসিত করে দিল আইসিসি। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি দুর্নীতির অপরাধ করেছিলেন। এ বছরের অগস্ট মাসে সেই দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) দুর্নীতি দমন আইনে অভিযুক্ত হয়েছেন স্যামুয়েলস।
ক্যারিবায়নদের হয়ে দু’টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে বড় অবদান রেখেছিলেন স্যামুয়েলস। ২০১২ এবং ২০১৬ দু’বারই ফাইনালে নজর কাড়া পারফম্যান্স ছিল তাঁর। তিনি যথাক্রমে ৭৮ এবং অপরাজিত ৮৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। একমাত্র ক্রিকেটার হিসাবে সব সংস্করণ মিলিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে দু’বার ম্যাচের সেরার ক্রিকেটার হওয়ার নজিরও রয়েছে তাঁর। সেইতারকার গায়েই লাগল কলঙ্কের দাগ।
দুর্নীতিবিরোধী চারটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন স্যামুয়েলস। এই নিষেধাজ্ঞা গত ১১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে। শেষ হবে ২০২৯ সালের নভেম্বরে। জানা গিয়েছে, জুয়াড়িদের থেকে উপহার, অর্থ বা অন্যান্য সুবিধা পাওয়া সত্ত্বেও তিনি আইসিসি-র দুর্নীতি বিরোধী আধিকারিকদের কাছে তা লুকিয়ে গিয়েছেন। দ্বিতীয়ত, ৭৫০ ডলার বা তাঁর বেশি মূল্যের আর্থিক সুবিধা পেলেও তা জানাননি। তৃতীয়, আইসিসি-র দুর্নীতি বিরোধী সংস্থার আধিকারিকদের তদন্তের সঙ্গে সহযোগিতা করেননি। চতুর্থত, আইসিসি-র দুর্নীতি বিরোধী সংস্থার আধিকারিকদের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বা তথ্য না দেখিয়ে তদন্তে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
The former West Indies player with more than 300 international appearances has had his ban confirmed by the ICC.
Details 👇https://t.co/FCybKZNWxz
— ICC (@ICC) November 23, 2023
দুর্নীতির দায়ে শাস্তি পাওয়া স্যামুয়েলসের জন্য অবশ্য নতুন কিছু নয়। ২০০৮ সালে এমন অপরাধে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ভারতের ওয়ানডে ম্যাচের তথ্য পাচার করতে গিয়ে ভারতীয় পুলিশের ফাঁদে ধরা পড়েন। সেই সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড (সিডব্লুআই) তাঁর পাশে ছিল। তদন্ত চলাকালে স্যামুয়েলস বিশ্বকাপও খেলেছিলেন। তবে পরে অপরাধ প্রমাণিত হয়। তবে নির্বাসন কাটিয়ে ফিরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দু’টি বিশ্বকাপ জেতাতে বড় ভূমিকা রাখেন বিতর্কিত এই ব্যাটসম্যান।