লক্ষ্মীবারে রীতিমতো আদাজল খেয়ে নেমেছে সিবিআই। সাত সকালে কলকাতার দুই হেভিওয়েট তৃণমূল কাউন্সিলের বাড়িতে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। পাশাপাশি জেলাতেও কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। কলকাতার পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ ও কোচবিহারেও তল্লাশি চলছে। ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে সকাল সকাল পৌঁছে যান সিবিআই আধিকারিকরা। জানা গেছে, মুর্শিদাবাদের আরও চার জায়গায় তল্লাশি চলছে।
বৃহস্পতিবার সকালে নিজাম প্যালেস থেকে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে হানা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। কলকাতা পুরসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক তথা ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তর পাটুলির বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। প্রায় ১৮ মিনিট পর বাড়ির ভিতরে ঢোকেন তদন্তকারীরা। নিজেই দরজা খুলে আধিকারিকদের ভিতরে ঢোকান বাপ্পাদিত্য। সূত্রের খবর, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল বাপ্পাদিত্যর।
এদিন বিধাননগর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা পুর পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতেও হানা সিবিআইয়ের। সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। সিবিআই হানার খবর পেয়ে ফের বাড়ি ফিরে আসেন দেবরাজ। তদন্তে সহযোগিতার পূর্ণ আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
ডোমকলের পাশাপাশি বড়ঞাতেও চলছে তল্লাশি। বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ ‘ঘনিষ্ঠ’ ঝণ্টু শেখের বাড়িতে হানা সিবিআইয়ের। তিনি একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক বলেই খবর। এই ঝন্টু শেখ নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষের ঘনিষ্ঠ ছিল বলে দাবি। কুন্তলকে জেরা করেই ঝন্টুর নাম উঠে আসে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। ঝন্টু শেখের নামে একাধিক বিএড কলেজও আছে। জেলবন্দি জীবনকৃষ্ণ সাহার সঙ্গেও তাঁর ঘনিষ্ঠতা ছিল বলে জানা গেছে।