দক্ষিণ দিনাজপুরে বোল্লা কালীপুজোয় পাঁঠা বলির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে অস্বীকার করল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এর সঙ্গে মানুষের আবেগ জড়িয়ে। আর যে প্রাণীকে হত্যা করা হচ্ছে তা গৃহপালিত। ফলে নিষেধাজ্ঞা জারির প্রশ্ন নেই।
রাসের পরেই উত্তরবঙ্গের বিখ্যাত পুজো ও মেলার মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বোল্লা এলাকার বোল্লা কালীপুজো অন্যতম। রাস পূর্ণিমার পরের শুক্রবার নিয়ম করে পুজো হয়। এই পুজোয় ১০ হাজার পাঁঠা বলি হয়। এই বলি নিষিদ্ধ করার আবেদন নিয়ে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তাঁদের তরফে আইনজীবী বলেন, “লাইসেন্স ছাড়া পশুবলি হতে পারে না। এটা বন্ধ করা উচিত।”
শুক্রবার সেই মামলাটি ওঠে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে।শুনানিতে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বলেছে, ‘‘উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে বলি বন্ধ করা সম্ভব নয়। তবে পুজো কমিটিকে বলতে পারি, যাতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা করে।’’ মার্চ মাসে এই নিয়ে এই রিপোর্ট দেবে পুজো কমিটি।
শুক্রবার দক্ষিণ দিনাজপুরে মহাসমারোহে পালিত হচ্ছে বোল্লা কালীপুজো। মনষ্কামনা পূর্ণ হলে এই পুজোয় ছাগ বলি দেন স্থানীয় মানুষজন। প্রতি বছর প্রায় দশ হাজার পশু বলি হয় এই পুজো উপলক্ষে। এদিনের শুনানিতে উঠে এসেছে জাল্লিকাট্টু, মোরগ লড়াই প্রসঙ্গও। জাল্লিকাট্টুর মতো খেলা বন্ধের নির্দেশ দেয়নি সু্প্রিম কোর্ট। বন্ধ হয়নি মোরগ লড়াইও। একইভাবে পাঁঠা বলিতেও নিষেধাজ্ঞা দিল না কলকাতা হাই কোর্ট।