সংসদের মধ্যে অধিবেশন কীভাবে চলে তা দেখার জন্য অনেকেরই আগ্রহ থাকে। কেউ লোকসভা বা রাজ্যসভার অধিবেশন দেখতে চাইলে তাঁকে সেই সভার কোনও সদস্য তথা সাংসদের থেকে সুপারিশ পত্র সংগ্রহ করতে হয়। সেই সুপারিশের চিঠি সংসদ ভবনের গেটে দেখালে তাঁকে সিকিউরিটি চেক করে ভিতরে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়।
এ ছাড়া লোকসভার স্পিকার বা রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের সুপারিশের ভিত্তিতেও দুই সভার ভিজিটরস গ্যালারিতে দর্শনার্থীদের বসতে দেওয়া হয়। অনেক সময় দেখা যায়, স্কুল, প্রশাসনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কলেজের ছাত্ররাও দল বেঁধে লোকসভা বা রাজ্যসভার অধিবেশন দেখতে আসে। বুধবার লোকসভায় যে ধুন্ধুমার ঘটনা ঘটে গিয়েছে, তার পর এখন বড় কৌতূহলের বিষয় হল, কোন সাংসদের থেকে সুপারিশ পত্র নিয়ে লোকসভার ভিজিটরস গ্যালারিতে ঢুকেছিলেন দুই যুবক।
লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার সচিবালয় সূত্রে বলা হচ্ছে, কোনও সাংসদের সুপারিশ ক্রমে ওই যুবককে লোকসভায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তা বের করা খুবই সহজ। এদিন সংসদ ভবনের রিসেপশনে যে সব চিঠি জমা পড়েছে তা খতিয়ে দেখলেই তা বোঝা যাবে। ভিজিটরস পাসেও তা লেখা থাকার কথা। সূত্রের খবর, সাগর শর্মার কাছে থাকা ভিজিটরস পাসটি ইস্যু করেছিলেন মাইসুরুর বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহা।
মাইসুরু থেকে ৪২ বছর বয়সী বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহা প্রয়াত বি ই গোপাল গৌড়ার ছেলে। তিনি ২১৫-চামুন্ডেশ্বরী আসনের ভোটার। তিনি কন্নড় ভাষার সংবাদপত্রে কলাম লেখেন। সিমহা পেশায় সাংবাদিক ছিলেন। তিনি তার তীক্ষ্ণ এবং সমালোচনামূলক হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির জন্য বিখ্যাত। তিনি কর্ণাটকের ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) যুব শাখার প্রধান।কাজেই, এই ঘটনার ফলে অস্বস্তিতে পড়েছেন বিজেপি বিধায়কও।
প্রশ্ন ঘুষ কাণ্ডে ক’দিন আগেই লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে> বুধবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক থেকে মহুয়ার প্রসঙ্গ টেনে রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য নেত্রী শশী পাঁজা বলেন, “স্রেফ অভিযোগের ভিত্তিতে আমাদের সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে সংসদ থেকে বহিষ্কার করে দিল বিজেপি। মহুয়ার জন্য নাকি জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছিল! তাহলে বুধবার সংসদে যা ঘটল, সেটা কি জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত নয়? অবিলম্বে মহীশূরের বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিনহাকে লোকসভা্ থেকে বহিষ্কার করতে হবে।”