২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বরে দিল্লির নির্ভয়াকাণ্ডকে (Nirbhaya Case) আবার মনে করিয়ে দিল রাজস্থানের জয়পুর। উত্তরপ্রদেশ-জয়পুর রুটের বাসে ২০ বছরের দলিত কন্যাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল দুই বাসচালকের বিরুদ্ধে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত ৯ এবং ১০ ডিসেম্বরের মাঝের রাতে। সেদিন উত্তরপ্রদেশের কানপুর থেকে রাজস্থানের জয়পুরের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল বেসরকারি বাসটি। নির্যাতিতা তরুণী সেই বাসে করেই জয়পুরে তাঁর কাকার বাড়িতে যাচ্ছিলেন। সূত্রের খবর, তরুণীকে বাসের চালক এবং কন্ডাক্টর আরিফ খান এবং ললিত কুমার বলে, তাঁর ঘুম পেলে চালকের কেবিনে বার্থে উঠে শুয়ে পড়তে। তাঁদের বিশ্বাস করে সেটাই করেন তরুণী।
এরপরেই বাইরে থেকে কেবিনের দরজায় তালা লাগিয়ে দেয় অভিযুক্তরা। তারপর জোরে গান চালিয়ে দেয় যাতে ভিতরের কোনও আওয়াজ বাইরে গিয়ে না পৌঁছয়। এরপর ওই চলন্ত বাসেই গণধর্ষণ করা হয় দলিত তরুণীকে।
কিন্তু বাসেরই কয়েকজন যাত্রীর সন্দেহ হয়। কানোটা থানার কাছে একটি পেট্রোল পাম্পে বাসটি দাঁড়াতেই ওই যাত্রীরা চিৎকার চেঁচামেচি করতে শুরু করেন। জানতে পেরে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। আরিফকে তখনই গ্রেফতার করা হলেও ললিত চম্পট দেয় সেখান থেকে। তার সন্ধানে পৃথক পৃথক দল গঠন করে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে।
জয়পুরের কানোটা থানার পুলিশ আধিকারিক ভগবান মিনা জানিয়েছেন, ধৃত আরিফ বর্তমানে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। ললিতকে হন্যে হয়ে পুলিশ খুঁজছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।