শাস্তি হিসাবে দলিত ছাত্রেদের দিয়ে সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমে পরিষ্কার করানোর অভিযোগ সামনে এসেছে। আর সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। কর্ণাটকের কোলারের একটি আবাসিক স্কুলে এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।
কোলারের মালুর তালুকের মোরারজি দেশাই আবাসিক স্কুলে এই ঘটনা হয়েছে বলে অভিযোগ। স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ২৪৩। তাদের মধ্যে ১৯ জন ছাত্রীও রয়েছে, যারা ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। অভিযোগ, ওই স্কুলেরই পাঁচ থেকে ছয় জন ছাত্রকে সেপটিক ট্যাঙ্কে নামিয়ে তা হাত দিয়ে পরিষ্কার করতে বাধ্য করা হয়েছে। তারা সপ্তম থেকে নবম শ্রেণির ছাত্র। শাস্তি হিসাবেই এই কাজ তাদের করানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, গোটা ঘটনার ভিডিও করেন স্কুলের অন্য কয়েকজন শিক্ষক। সেখান থেকেই প্রকাশ্যে আসে ন্যক্কারজনক ঘটনার খবর। ইতিমধ্যে নেটদুনিয়ায় ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, পিঠে ভারী ব্যাগ নিয়ে হাঁটু মু়ড়ে বসে রয়েছে পড়ুয়ারা। তাদের হাত উপরে তোলা। এক পড়ুয়ার আবার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তাকে জল খাইয়ে সুস্থ করার চেষ্টা করছে এক সহপাঠী।
এই ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিশদ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কর্নাটকের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী এইচ সি মহাদেবাপ্পা। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে। সেই সঙ্গে গ্রেপ্তার হয়েছেন স্কুলের চার অশিক্ষক কর্মীও। চাকরি থেকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁদের। যদিও চার দলিত পড়ুয়ার কী অবস্থা, সেই নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
কংগ্রেস শাসিত কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah) বলেন, “এই ঘটনাটার খবর পেয়েছি। ইতিমধ্যেই রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমে পরিষ্কার করার উপর বহুদিন আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ উড়িয়েই পড়ুয়াদের উপর নির্যাতন চালানো হয়েছে কর্নাটকের স্কুলটিতে।