আগামী ২২শে জানুয়ারি রাম মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রন পেলেও এই অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সূত্র মারফৎ এই খবর জানা গিয়েছে। এমন কী মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধিও যোগ দেবেন না বলেই সূত্রের দাবি।
বুধবার এই সময় ডিজিটালকে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। আমন্ত্রণপত্র এসেছে না আসেনি তা আমি অবশ্য জানি না। তবে অংশ নেওয়ার প্রশ্ন নেই, সেটা জানি।’ কেন রাম মন্দিরের উদ্বোধনে অংশ নেবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা তাঁর দল? কুণাল ঘোষের ব্যাখ্যা, ‘আমরা ভগবান রামকে পুজো করি। বাড়িতে করি, হৃদয়ে করি, মন্দিরে করি। কিন্তু, BJP রামকে নির্বাচনী অ্যাজেন্ডা হিসেবে ব্যবহার করে। ভোটের জন্য ব্যবহার করে। ফলে ওদের কোনও ইভেন্ট আমরা সমর্থন করি না।’
তৃণমূল সূত্রের বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেন ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’। নির্বাচনের আগে বিজেপি নেতৃত্ব ধর্মকে নিয়ে যে ভাবে রাজনীতি করছেন তা সমর্থনযোগ্য নয়। রাজনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, ভোটের আগে রাম মন্দিরের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া নিয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দলই রাজনীতির অঙ্ক কষছে, নিজেদের মতো করে। যেমন পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক তৃণমূলের রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে পড়ে। তাকে অগ্রাহ্য করা সম্ভব নয়। তা ছাড়া, বিরোধী রাজনীতির বিশ্বাসযোগ্যতা যাতে চিড় না খায়, তা দেখার দায়বদ্ধতাও রয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বের।একই সঙ্গে হিন্দু ভোট ব্যাঙ্কের কথা ভেবে অযোধ্যার অনুষ্ঠানের বিরোধিতা করে সুর চড়াতেও চাইছেন না তৃণমূল নেত্রী।
সূত্রের খবর শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের পক্ষ থেকে দেশের সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের আগামী ২২ জানুয়ারির অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। রাম মন্দিরের উদ্বোধন নিয়ে চড়ছে রাজনীতির পারদ। কারা কারা আমন্ত্রণ পেলেন, কে আসবেন আর কে বয়কট করবেন, তা নিয়ে কৌতুহল ক্রমশই বাড়ছে। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে রাম মন্দিরের উদ্বোধনকে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমে পড়েছে BJP। অন্যদিকে, এটিকেই মোদী বিরোধী ইস্যু হিসেবে কোমর বেঁধেছে বিরোধী শিবিরও। সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, বলিউড তারকা, শিল্পপতি থেকে শুরু করে তাবড় বিশিষ্টদের অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের পক্ষ থেকে। মোদী সরকার এই প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানকে যতই রাজনীতির ঊর্ধ্বে বলে প্রচার করুক বিরোধিরা এই ঢক্কানিনাদকে লোকসভার অন্যতম প্রধান স্ট্র্যাটেজি হিসেবেই দেখছে।