রামমন্দির উদ্বোধনের দিন ২২ জানুয়ারি থেকেই বাংলা থেকে প্রতিদিন একটি করে অযোধ্যা এক্সপ্রেস ট্রেন পরিষেবা চালুর ভাবনা গেরুয়া শিবিরে। বাংলার বিজেপির কর্মী সমর্থক অথবা সাধারণ মানুষ, যে কেউ যদি রামমন্দির দর্শন করতে যেতে চান তাহলে নিখরচায় যাত্রীদের নিয়ে ট্রেন পৌঁছে যাবে অযোধ্যায়। এমনই উদ্যোগ বিজেপির।
কলকাতা থেকে রেলপথে অযোধ্যাধামের (নতুন নাম) দূরত্ব ৮৭৫ কিলোমিটার। কলকাতা স্টেশন থেকে প্রতিদিন রাতে ছাড়ে জম্মু-তাওয়াই এক্সপ্রেস। পাশাপাশি, হাওড়া থেকে প্রতিদিন ছাড়ে দুন এক্সপ্রেস। রেলের বর্তমান পরিষেবায় বাংলা থেকে সরাসরি অযোধ্যা যেতে হলে এই দু’টি ট্রেনই রয়েছে। কিন্তু বিজেপি চায় আগামী ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হতে নতুন রামমন্দির উদ্বোধনের পরে বাংলা থেকে কয়েক লক্ষ মানুষ যাবেন অযোধ্যায় মন্দির দর্শনে। ফলে রেলের ওই দু’টি ট্রেন তাঁদের নিয়ে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত হবে না। সেই কারণে রেলের কাছে ইতিমধ্যেই তারা বিশেষ ট্রেন চালানোর আর্জি জানিয়েছে। জানা গিয়েছে, রেলও বিষয়টি নিয়ে ভাবছে। শুধু বাংলা নয়, সব রাজ্য থেকেই এমন ট্রেন ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে রেলের।
এই সব বিশেষ ট্রেনগুলিতে বিজেপি কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ যাত্রীরাও টিকিট কেটে তাঁদের গন্তব্যে যেতে পারবেন। তবে বিজেপি কর্মীদের ট্রেনের টিকিট ব্যক্তিগত ভাবে কাটতে হবে না তা দলের তরফে কেটে দেওয়া হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। বিজেপি নেতারা কেউই এ ব্যাপারে মুখ খুলতে রাজি নন। তবে ওই ট্রেনগুলি যাতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ফাঁকা না যায় এবং রেল যাতে ফেব্রুয়ারির পরেও ট্রেনগুলি চালিয়ে যায়, সে ব্যাপারে নেতা-কর্মীদের সক্রিয় হতে হবে বলে বুধবারের বৈঠকে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব জানিয়েছেন।
২০২৪ সালের এপ্রিল-মে মাসে লোকসভা ভোট হওয়ার সম্ভাবনা। চলতি লোকসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৬ জুন। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচন হয়েছিল এপ্রিল-মে মাসে। সেই হিসাবে ভোটের মাস কয়েক আগে রামমন্দিরে মূর্তি বসে যাচ্ছে। রামমন্দিরের দরজা খুলে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছে। বিরোধীরা আগেই অভিযোগ করেছিল যে, ‘২০২৪ সালের লোকসভা ভোট হিন্দুত্বের আবহে করতে চায় বিজেপি। রাজনৈতিক হিসাব কষেই রামমন্দিরের উদ্বোধন করা হবে।’ সেই অভিযোগ মিলে যাচ্ছে অনেকটাই।