Divya Pahuja ; Police Arrest 3 For Ex Model Divya Pahuja Dead Case In Hotel Room

Divya Pahuja: গুরুগ্রামের হোটেলে খুন গ্যাংস্টারের গার্লফ্রেন্ড -প্রাক্তন মডেল, দেহ টেনেহিঁচড়ে বার করার দৃশ্য CCTV-তে

গুরুগ্রামের সিটি পয়েন্ট হোটেল খুন হলেন বছর ২৭-এর মডেল। নাম দিব্যা পাহুজা। অভিযোগ, পঞ্জাবি এই মডেলকে খুন করেন হোটেল মালিক অভিজিৎ সিং।খুন ও দেহ পাচারের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।সেই সঙ্গে গ্রেফতার করে হয়েছে, তাঁর হোটেলের দুই কর্মী ওমপ্রকাশ এবং হেমরাজকে।

জানা গিয়েছে, ৮ বছর আগে এনকাউন্টারে মৃত গ্যাংস্টার সন্দীপ গাডোলি খুনের মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল প্রাক্তন মডেল দিব্যার। সন্দীপের গার্লফ্রেন্ড ছিলেন তিনি। গত বছর জুন মাসে সেই মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছিলেন। মুক্তি দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। গত মঙ্গলবার অর্থাৎ ২ জানুয়ারি দিল্লির ব্যবসায়ী এবং হোটেল মালিক অভিজিৎ সিংয়ের সঙ্গে গুরুগ্রামে গিয়েছিলেন দিব্যা পাহুজা। সেখানকার হোটেলেই তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, সন্দীপ গাদোলি নামক এক গ্যাংস্টারের ভুয়ো এনকাউন্টার মামলায় বিগত ৭ বছর ধরে জেলে ছিল দিব্যা। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে গ্যাংস্টার সন্দীপ গাদোলির ভুয়ো এনকাউন্টার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিল দিব্যা পাহুজা। এই দিব্যা নাকি মধুচক্রে ফাঁসিয়ে নিজের গ্যাংস্টার বয়ফ্রেন্ডের ভুয়ো এনকাউন্টার করিয়েছিল। সেই মামলায় সাত বছর পর তাকে এই খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়।

হরিয়ানা পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২৩ সালের ২৫ জুলাই জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন দিব্যা। জেলে থাকাকালীন তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় আর এক গ্যাংস্টার বিন্দর গুর্জরের সঙ্গে। সেই গ্যাংস্টারের সূত্র ধরেই হোটেল মালিক অভিজিতের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল দিব্যার। গত তিন মাস ধরে তাঁরা লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন।পুলিশ সূত্রে খবর, লিভ ইন সম্পর্কে থাকার সময় অভিজিতের অশ্লীল ভিডিয়ো এবং ছবি তুলে রেখেছিলেন। অভিযুক্ত অভিজিতের দাবি, সেই ছবি এবং ভিডিয়ো দেখিয়ে তাঁকে ব্ল্যাকমেল করতেন দিব্যা। তা ছাড়া তাঁকে ব্ল্যাকমেল করে প্রায়ই টাকা আদায় করতেন। এ বার বিপুল পরিমাণ টাকা দাবি করেছিলেন দিব্যা।

২ জানুয়ারি দিব্যাকে নিজের হোটেলে নিয়ে এসেছিলেন অভিজিৎ। সেখানে সেই ছবি এবং ভিডিয়ো নিয়ে দু’জনের মধ্যে বচসা হয়। দিব্যাকে ওই ভিডিয়ো এবং ছবি মুছে ফেলতে বলেছিলেন অভিজিৎ। মোবাইলের পাসওয়ার্ডও চেয়েছিলেন। কিন্তু পাসওয়ার্ড না দেওয়ায় এবং ছবি, ভিডিয়ো মুছতে অস্বীকার করায়, দিব্যাকে গুলি করে খুন করেন বলে জেরায় পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন অভিজিৎ। রাত ১০টা ৪৫ মিনিট নাগাদ দেখা যায়, অভিজিৎ ও দুই যুবক দিব্যার দেহ চাদরে মুড়িয়ে টেনে-হিঁচড়ে বের করে আনছে। হোটেলের বাইরেই দাঁড়ানো বিএমডব্লুতে দিব্যার দেহ তোলা হয়। জানা গিয়েছে দুই সহযোগীকে দিব্যার দেহ ফেলার জন্য ১০ লক্ষ টাকা দেয় অভিজি। যদিও এখনও মৃতার দেহও পায়নি পুলিশ।

পরিবারের দাবি, ঘটনার দিন সকালে দিব্যাকে ফোন করা হয়েছিল। কথাও বলেছিলেন তিনি। কিন্তু বেলা গড়াতেই আর কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি তাঁর। ফোনে কোনও সাড়াশব্দ না মেলায়, যোগাযোগ করা হয়েছিল অভিজিতের সঙ্গে। কিন্তু তিনিও প্রাক্তন মডেল নিয়ে কোনও কিছু জানাতে অস্বীকার করেছিলেন বলে পরিবারের অভিযোগ। এরপর গুরুগ্রাম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় তদন্তে নামার পর পুলিশের হাতে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। হোটেল ব্যবসায়ী তথা বন্ধু অভিজিৎই প্রাক্তন মডেলকে খুন করেছে বলে জানিয়েছেন গুরুগ্রামের এসিপি মুকেশ কুমার।