বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়ে গেল আজ। স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টে অবধি চলেছে ভোটগ্রণ। বিএনপির ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের মধ্যেই হল নির্বাচন।বেশ কিছু হিংসাত্মক ঘটনাও ঘটেছে আজকের ভোটে। এড়ানো যায়নি প্রাণহানির ঘটনাও। ভোট পড়ার হাল খুবই খারাপ। প্রায় সমস্ত বিরোধী দলই এবারের নির্বাচন বয়কট করেছে। ফলে রেকর্ড গড়ে পঞ্চমবার প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন শেখ হাসিনা।
৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হয়েছে ২৯৯টি আসনে। একজন প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনে ভোট বাতিল হয়েছে। ২৯৯টি আসনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৩ লক্ষ ৩৩ হাজার ১৫৭ জন। নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে সারা দেশে ১৪ জন প্রার্থী নির্বাচন বয়কট করেছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন নির্দল প্রার্থীরাও। সব মিলিয়ে ৪০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে বলে জানালেন সেই দেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার, কাজি হাবিবুল আউয়াল। তবে এই পরিসংখ্যান নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে ভোটগ্রহণ শেষ। শুরু হয়ে গিয়েছে ভোট গণনাও। সোমবার (৮ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে নিজের কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ঢাকা প্রশাসনিক বিভাগের অন্তর্গত গোপালগঞ্জ জেলার গোপালগঞ্জ -৩ আসনের প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছিলেন। এই গোপালগঞ্জ হাসিনার জন্মস্থান। গত ২০১৪ এবং ২০১৮ সালেও এই কেন্দ্রে দাঁড়িয়েছিলেন হাসিনা। সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো লিখেছে, ‘‘গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া) আসনে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’’
গোপালগঞ্জ-৩ আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ২ লক্ষ ৯০ হাজার ৩০০ জন। এর মধ্যে হাসিনা পেয়েছেন ২ লক্ষ ৪৯ হাজার ৯৬২ ভোট। তাঁর ‘নিকটতম’ প্রতিদ্বন্দ্বী এনপিপির শেখ আবুল কালাম পেয়েছেন ৪৬০টি ভোট। ৪২৫টি ভোট পেয়ে এই কেন্দ্রে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন আর এক প্রার্থী মাহাবুর মোল্যা। তিনি জাকের পার্টির প্রার্থী।