তরুণীদের পিছু ধাওয়ার অভিযোগ তুলে সাধুদের মারধর ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা রুজু করল পুরুলিয়ার কাশীপুর থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, গৌরাঙ্গডি গ্রামের এক বাসিন্দার অভিযোগের ভিত্তিতে তিন সাধু সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে নিগ্রহের চেষ্টার একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। অন্যদিকে, আক্রান্ত এক সাধুর অভিযোগে অজ্ঞাত গৌরাঙ্গডি এলাকার অজ্ঞাত পরিচয় ১৫০ জনের বিরুদ্ধে গাড়ি থামিয়ে মারধর ও ভাঙচুরের মামলা রুজু হয়েছে। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে ১২ জন। ১২ অভিযুক্তকে শনিবার রঘুনাথপুর আদালতে তোলা হবে।
জানা গেছে উত্তরপ্রদেশের বরেলির বাসিন্দা তিন সাধু একটি গাড়ি ভাড়া করে গঙ্গাসাগরের উদ্দেশে বেরিয়েছিলেন। রাস্তায় রাঁচীর জগন্নাথ মন্দির দর্শন করে তাঁরা এসে পৌঁছন পুরুলিয়ার কাশীপুরে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেখানে রাস্তার ধারে গাড়ি রেখে খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করছিলেন। অভিযোগ এতেই এলাকায় রটে যায় সাধুরা নাবালিকা অপহরণ করার চেষ্টা করছেন। এরপরই স্থানীয়রা ওই তিন সাধুর উপর চড়াও হয়। গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি মারধর করা হয় সাধুদের সঙ্গে থাকা গাড়ির চালক এবং রাঁধুনিকেও। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাধুদের উদ্ধার করে কাশীপুর থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
আক্রান্ত সাধুদের দাবি, তারা গঙ্গাসাগর যাওয়ার পথে গৌরাঙ্গডি মোড়ে নেমেছিলেন। সেখানে কয়েকজন তাদের টাকা দিয়ে সেবা করেন। পরে সেখানকার একটি ইট ভাটায় কিছু দান দক্ষিণা নিতে গিয়েছিলেন। ওই সময় তিন তরুণীকে পথ জানার জন্য জিজ্ঞেস করার জন্য ডেকেছিলেন। কিন্তু ভাষাগত সমস্যার জন্য তারা ভুল বুঝে ভয়ে পালিয়ে যায়। তারপর আচমকা তাদের গাড়ি আটকে ভাঙচুর চালায় ওই এলাকার অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় দুটি পৃথক অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।