রবিবারই শুরু হয়েছে রাহুলের ন্যায় যাত্রা। তার আগেই বড় ধাক্কা কংগ্রেসে। হাত শিবির ছাড়লেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মিলিন্দ দেওরা (Milind Deora)। কংগ্রেস ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন সকালে। দুপুরের মধ্যেই শিবসেনার একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠীতে আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগ দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী । দলীয় গৈরিক পতাকা হাতে তুলে দিয়ে তাঁকে দলে স্বাগত জানান মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে।
#WATCH मुंबई में महाराष्ट्र के मुख्यमंत्री एकनाथ शिंदे की मौजूदगी में मिलिंद देवड़ा शिवसेना में शामिल हुए। pic.twitter.com/Rb4BG07EaU
— ANI_HindiNews (@AHindinews) January 14, 2024
মিলিন্দের পরিবারের সঙ্গে কংগ্রেসের (Congress) সম্পর্ক ৫৫ বছরের। সেকথা স্মরণ করিয়ে এদিনে এক্স হ্যান্ডলে নেতা লেখেন, ‘কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। দলের সঙ্গে ৫৫ বছরের পারিবারিক সম্পর্ক এখানেই শেষ। আমি সমস্ত নেতা, সতীর্থ ও কার্যকর্তাদের কাছে কৃতজ্ঞ যাঁরা আমার প্রতি এত বছর ধরে সমর্থন জানিয়েছেন।’
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মিলিন্দ যে দলবদলের কথা ভাবছেন, তার ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। যে দক্ষিণ মুম্বই লোকসভা কেন্দ্র থেকে তিনি লড়েন, সেখানে গত দুই লোকসভা ভোটেই দেওরা ধরাশায়ী হয়েছেন শিবসেনা প্রার্থী অরবিন্দ সাওয়ান্তের কাছে। অরবিন্দ শিবসেনার উদ্ধব শিবিরের নেতা। ফলে আসন্ন লোকসভা ভোটে ওই কেন্দ্র থেকে মুরলী দেওরার ছেলের টিকিট পাওয়া কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। ফলে অস্তিস্ব টিকিয়ে রাখতে দলবদল তাঁকে করতেই হত বলেও মনে করছেন অনেকে।
রবিবার কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের বার্তা দেওয়ার পর বাড়ি থেকে বেরোতেই সাংবাদিকরা ঘিরে ধরেন মিলিন্দকে। তখন ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে জানিয়েছিলেন, তিনি উন্নয়নের পথে হাঁটার স্বার্থেই কংগ্রেস ছেড়েছেন। তার পরেই স্ত্রী পূজাকে নিয়ে প্রভাদেবী এলাকার সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে পুজো দিতে চলে যান। কংগ্রেসের নেতা অধুনা প্রয়াত মুরলী দেওরার ছেলে মিলিন্দ। মুরলী টানা ৪০ বছর দক্ষিণ মুম্বই লোকসভার সাংসদ ছিলেন। ২০০৪ এবং ২০০৯ সালে বাবার ছেড়ে দেওয়া সেই দক্ষিণ মুম্বই কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের প্রতীকে জেতেন মিলিন্দ। মনমোহন জমানায় পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছিলেন। কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হত মিলিন্দকে। মূলত, তাঁর মতো কয়েক জন নেতাকেই কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ হিসাবেও চিহ্নিত করা হয়েছিল একটা সময়। কিন্তু ২০১৪ সাল থেকে আর ভোটে জিততে পারেননি মিলিন্দ।