গত বছর তাঁকে প্রচুর সাফল্য দিয়েছে। পাশাপাশি, কলঙ্কিতও করেছে। ছবি বিকৃতির কারণে রাতারাতি ঘুম উড়েছিল রশ্মিকা মন্দানার। অবশেষে স্বস্তি। শনিবার ধরা পড়েছে তাঁর সঙ্গে ঘটা অনৈতিক ঘটনার মূল অভিযুক্ত। খবর, অন্ধপ্রদেশ থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ।
প্রসঙ্গত, ২০২৩-এর নভেম্বরে সোশ্যাল মিডিয়ায় আচমকাই ভাইরাল হয়েছিল এক অশ্লীল ভিডিয়ো। যেখানে দেখা মিলেছিল দক্ষিণী সুন্দরী রশ্মিকা মন্দনার। তবে সেটি আদৌ কি রশ্মিকা? এনিয়ে তৈরি হয় সংশয়। আর এরপরেই জানা যায়, কেউ বা কারা ওই সুপার ইম্পোজ করা ভিডিয়োতে রশ্মিকার মুখ বসিয়েছেন। ভিডিয়োটি আদপে ব্রিটিশ ইনফ্লুয়েন্সার জারা প্যাটেলের। গত ৮ অক্টোবর তিনিই ইনস্টাগ্রামে ভিডিয়োটি পোস্ট করেছিলেন। সেই ভিডিয়োতেই AI-এর সাহায্য নিয়ে রশ্মিকার মুখ বসানো হয়েছিল।
এরপরই ডিপফেকের রহস্য উদঘাটনে নামে দিল্লি পুলিশ। FIR দায়ের হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৬৫, ৪৬৯ ধারায় এবং তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত আইন ৬৬সি ও ৬৬ই ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। বহুদিন ধরেই তাই এই ঘটনার মূলচক্রীকে খুঁজছিল দিল্লি পুলিশ। অবশেষে উত্তপ্রদেশ থেকে শনিবার অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০০০-এর ৬৬ডি ধারায় স্পষ্ট বলা আছে, কম্পিউটার রিসোর্সকে কাজে লাগিয়ে যদি কেউ যোগাযোগের মাধ্যমকে ভুল ভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করে, কিংবা কোনও ব্যক্তির সঙ্গে বিশ্বাস ঘাতকতা করা হয়, তাহলে তিন বছর পর্যন্ত জেল এবং ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।