কটন ক্যান্ডি বা হাওয়াই মিঠাই, যা ‘বুড়ির চুল’ নামেও পরিচিত, তার মধ্যে মিলেছে এমন এক কেমিক্যাল, যা শরীরে ক্যানসারের সৃষ্টি করে। একাধিক পরীক্ষায় এই উপাদানের উপস্থিতি মিলতেই শনিবার তামিলনাড়ু সরকারের তরফে রাজ্যে হাওয়াই মিঠাই বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে পুদুচেরিতেও নিষিদ্ধ হয়েছে হাওয়াই মিঠাই।
চিনির সিরাপ দিয়ে তৈরি হয় হাওয়াই মিঠাই। এর অনেক নাম, যেমন কটন ক্যান্ডি, ফেয়ারি ফ্লস, ক্যান্ডি ফ্লস কিংবা স্পুন সুগার। পেঁজা তুলোর মতো তুলতুলে ও গোলাপি-সাদা রঙয়ের এই ঐতিহ্যবাহী হাওয়াই মিঠাই দেখতে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। হাওয়াই মিঠাইয়ের মেশিনে গুড়ো করা চিনি বাতাসে দ্রুতগতিতে ঘুরিয়ে হাওয়াই মিঠাই তৈরি করা হয়। কৃত্রিম রঙও ব্যবহার করা হয়। হাওয়াই মিঠাই মেশিনের মাঝখানে একটি ছোট ছিদ্র থাকে, তাতে চিনির গুড়ো ঢালা হয়। মেশিনের তাপমাত্রা ৩০০ ডিগ্রিতে পৌঁছলে ওই চিনি গলে সরু সরু সুতোর মতো হাওয়াই মিঠাই তৈরি হয়।
সময়ের বদলের সঙ্গে সঙ্গে এর রঙেও বদল এসেছে। ছোট ছোট গোলাকার হাওয়াই মিঠাই আকারে ফুলে ফেঁপে বেশ বড় হয়েছে। কাঠিতে পেঁচিয়ে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় এখন সব জায়গায় পাওয়া যায়। আর সেখানেই হয়েছে গন্ডগোলটা। খাদ্য সুরক্ষা দফতর জানিয়েছে, ক্যান্ডি ফ্লস বা হাওয়াই মিঠাই তৈরি করতে যে রঙ ব্যবহার করা হচ্ছে তাতেই পাওয়া গেছে বিষাক্ত রাসায়নিক। এই রাসায়নিক পেটে গেলে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বহুগুণে বেড়ে যাবে। অর্থাৎ কার্সিনোজেনিক (যা থেকে ক্যানসার হতে পারে) উপাদান পাওয়া গেছে হাওয়াই মিঠাইতে।
কৃত্রিম রঙের উপাদান হিসেবে হাওয়াই মিঠাইয়ে ব্যবহার হচ্ছিল রোডামিনবে বি। ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অ্যাক্ট ২০০৬ অনুয়ায়ী খাবারে এই কেমিক্যাল ব্যবহার নিষিদ্ধ। এই আইন অনুযায়ী খাবারে রোডামিনবে বি এর ব্যবহার, প্যাকিং, রফতানি ও বিক্রি সবটাই নিষিদ্ধ।