আন্দোলনের মাঝে ফের এক কৃষকের মৃত্যু। শুক্রবার দর্শন সিং নামে ৬২ বছরের এক কৃষকের মৃত্যুর হয়েছে বলে খবর। ১৩ ফেব্রুয়ারি কৃষকদের দিল্লি চলো অভিযানের ডাক দেওয়ার পর থেকে এই নিয়ে মোট পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
দর্শন সিং ভটিন্ডা জেলার আমরগড় গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে অন্দোলনরত অন্য কৃষকদের সঙ্গে খনৌরি সীমানায় ছিলেন তিনি। তাঁর পরিবারের কাছে আট একর জমি ছিল। তাঁর মাথায় আট লাখা টাকার ঋণের বোঝা ছিল বলে খবর। একমাস আগে ছেলের বিয়ে দেন দর্শন সিং।
ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন একতা সিংঘুপুরে দর্শন সিংয়ের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করে। সংগঠনের তরফে মৃত কৃষকের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। সংগঠনের জেলা মহাসচিব রেশম সিং বলেন, ‘সীমানায় একের পর এক কৃষকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। তবু তাঁদের দাবি পূরণ হচ্ছে না। কত মৃত্যুর বিনিময়ে আপনারা কৃষকদের দাবিগুলি মেনে নেবেন?’
হার্ট অ্যাটাকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। শুক্রবার সকালে বিক্ষোভ চলাকালীন অসুস্থ বোধ করেন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।এর আগে বুধবার ২৪ বছর বয়সি এক কৃষকের মৃত্যু হয় শম্ভু সীমানায়। গত রবিবার সন্ধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল বছর সত্তরের আরেক কৃষকের। তার আগে ১৬ ফেব্রুয়ারি ৭৮ বছরের জ্ঞান সিং প্রয়াত হন বিক্ষোভের মাঝে। এর মধ্যে মৃত্যু হয় আরও এক কৃষকের।
‘ডু অর ডাই’ মনোভাব নিয়ে দিল্লির উদ্দেশে রওয়া দিয়েছিলেন কৃষকরা। পুলিশও তাঁদের রুখতে সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। দিল্লি হরিয়ানা সীমানায় যে যুদ্ধক্ষেত্র প্রস্তুত করা হয়েছিল কৃষকদের রুখতে, সেখানেই পুলিশের ছোড়া টিয়ার গ্যাসের জেরে ওই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। যদিও গোটা বিষয়টি অস্বীকার করেছে হরিয়ানা পুলিশ। তাদের কথায়, ‘নো ওয়ান কিলড’।