রামদেবের পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ সংস্থার ‘বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা’ বিজ্ঞাপনী মামলায় কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের। সুপ্রিম কোর্টের দাবি, ‘সরকার চোখ বন্ধ করে বসে রয়েছে।’ অবিলম্বে বৈদ্যুতিন ও মুদ্রণ মাধ্যমে পতঞ্জলি ওষুধের বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আধুনিক ওষুধের বিরোধিতা করে ভুল তথ্য দিয়ে বিজ্ঞাপন করছে পতঞ্জলি সংস্থা। এই মর্মে মামলা দায়ের করেছিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। প্রতিষ্ঠানের তরফে অভিযোগ করা হয়, অ্যালোপাথি ওষুধের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করেছে পতঞ্জলি। শুধু তাই নয়, রোগ সারিয়ে দেওয়া নিয়ে আইন লঙ্ঘন করে ভিত্তিহীন দাবি করা হচ্ছেও বলে অভিযোগ করা হয়। সেই সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণ এবং নথি জমা দেয় ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন।
সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পতঞ্জলিকে তুমুল ভর্ৎসনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লা বলেন, ‘আপনি এমন একজন ব্যক্তি, যিনি সবকিছু করে দিতে পারেন – এইসব বিজ্ঞাপন দেখে সেটাই মনে হচ্ছে। বিষয়টা হল যে স্থায়ীভাবে মুক্তি পাওয়ার উপায় হিসেবে আপনি আপনার দ্রব্য বিক্রি করছেন। এটা পুরোপুরি বিভ্রান্তিকর এবং আইন বিরোধী।’ সেইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ উপেক্ষা করে অ্যালোপাথি ওষুধের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করায় পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ লিমিটেডে এবং সংস্থার অধিকর্তা আচার্য বালাকৃষ্ণনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিশও জারি করা হয়েছে।
আগেই সুপ্রিম কোর্টে কড়া ভাষায় তিরস্কার করেছিল পতঞ্জলির বিজ্ঞাপনগুলিকে। এবার শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দিল বিভ্রান্তিকর বা ভুয়ো তথ্য নিয়ে বিজ্ঞাপন তৈরি করা যাবে না। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, এটি দুর্ভাগ্যজনক। সরকারকে অবলিম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।’ পাশাপাশি কেন্দ্রের তরফে হাজির আইনজীবীদের কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, এই ধরনের ভুয়ো মেডিক্যাল বিজ্ঞাপনের কেন্দ্রে কেন্দ্রকেই সমাধান বের করতে হবে।