সন্দেশখালিতে ‘১৭৪ ধারা’ আছে বলে বিতর্কে জড়ালেন বসিরহাটের অভিনেত্রী সাংসদ নুসরত জাহান। মঙ্গলবার সন্দেশখালি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এক বৈদ্যুতিন মাধ্যমে এমনটাই বলেছেন তিনি। যা নিয়ে শুরু হয়েছে ঠাট্টা তামাসা।
বেশ কিছু সপ্তাহ হল শাহজাহানের গ্রেফতার নিয়ে সরব সন্দেশখালি। কারও অভিযোগ জমি অধিগ্রহণ, কারও অভিযোগ আবার মহিলাদের ওপর অত্যাচার। বর্তমানে প্রতিবাদের আগুনে জ্বলছে সন্দেশখালি। এই পরিস্থিতিতে কোথায় সাংসদ নুসরত জাহান? এই প্রশ্নে বেশ কিছুদিন ধরেই তোলপাড় বিভিন্ন মহলে। অন্যদিকে সেলেব নুসরত নিজনিজ কাজে ব্যস্ত। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। মাঝে মধ্যেই বোল্ড লুকে ভাইরাল হচ্ছেন অভিনেত্রী। জাহির করছেন ছেলের কীর্তি। তারই মধ্যে এক সংবাদ মাধমের সামনে মুখ খুলে ফের হলেন কটাক্ষের শিকার।
নুসরত বলেছেন, ‘‘আমি বেশিদিন ক্যামেরা থেকে লুকিয়ে থাকতে পারি না, কারণ আমি কিছু ভুল করিনি। প্রতি দিন আমি ক্যামেরার মুখোমুখি হচ্ছি, এমন নয় যে আমি এর থেকে দূরে আছি। আমি এই বিষয়ে ইতিমধ্যে আমার মনে কথা বলেছি। আমি সবসময় দলের নির্দেশ মেনে চলি। রাজ্য সরকার প্রতিদিন সাহায্য পাঠাচ্ছে সন্দেশখালির স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে। যা যা দরকার তাই করা হচ্ছে। সাত দিনের মধ্যে লোকটিকে ধরতে বলেছে হাই কোর্ট। রাজ্য সরকার যা যা দরকার তাই করছে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।’’ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে নুসরত আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কি না তা নিয়ে দোলাচল রয়েছে। কিন্তু তাঁর এতদিনের লোকসভা কেন্দ্র উত্তপ্ত সন্দেশখালিতে না যাওয়া প্রসঙ্গে এরপরেই তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি বুঝতে পারছি না আমার এলাকায় না যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে কেন? কিছু পরিস্থিতি এমন রয়ে গিয়েছে। সেখানে ১৭৪ ধারা আছে। আমি সেখানে গেলে সঙ্গে পাঁচ জনকে নিয়ে যাব এবং এটা আইন শৃঙ্খলার বিরোধী হবে। আমি এমন কিছু করব না যা আইন শৃঙ্খলার বিরোধী হয়। মনে রাখবেন আমরা আইন শৃঙ্খলার ওপরে নই। আমাদের প্রশাসনে ওপর আস্থা রাখতে হবে। জনগণ ন্যায়বিচার পাবে।’’
নুসরতের এমন কথা প্রকাশ্যে আসতেই তাঁর বক্তব্য নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। তির্যক মন্তব্য করে তিনি লেখেন, ‘‘এত পড়াশোনা করলাম পিএইচডি করলাম, ‘‘১৪৪ ধারা’’ অব্দি বুঝতে পারলাম… কিন্তু ‘‘১৭৪ ধারা’’টা আজও আমার কাছে অজানাই রয়ে গেল।’’ সমালোচনায় মুখর হন নেট নাগরিকরাও। কেউ লিখলেন, ‘বাংলার কলঙ্ক’, আবার কেউ লিখলেন, ‘সন্দেশখালি জ্বলছে। আর আপনি সেখানে না গিয়ে এইসব পোস্ট করছেন?’ আবার কারও প্রশ্ন, ‘সন্দেশখালি গেলেন ? কি বলেছেন, ১৭৪ ধারা চলছে ? ওটা কোন দেশের সংবিধানের নিয়মানুযায়ী…।’
তবে তৃণমূলের এক প্রবীণ নেতার কথায়, ‘‘নুসরত নিশ্চিত জানেন যে কথাটা ১৭৪ নয়, ১৪৪ হবে। হয়তো বলার সময় ভুল বলে ফেলেছেন। এই বিষয়টিকে এত বড় করে দেখা ঠিক হবে না।’’