ভয়াবহ বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত পাকিস্তান (Pakistan)। গত দুদিনে সেদেশে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩৭ জন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু। দেশের উত্তরে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশটিই টানা বর্ষণের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর।
বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, সেই থেকে শুধু খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশেই মারা গিয়েছেন ২৭ জন। বেশির ভাগই শিশু। বাজাউর, খাইবার, পেশোয়ার, সোয়াট-সহ ১০ জেলা বিপর্যস্ত। বালুচিস্তান প্রদেশে প্রচণ্ড বৃষ্টির কারণে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেখানে মারা গিয়েছেন পাঁচ জন। উপকূলবর্তী শহর গ্বাদরে সব থেকে বেশি প্রভাব পড়েছে বৃষ্টির। বন্যায় ধুয়ে মুছে গিয়েছে একের পর এক জনপদ। ভেঙে পড়েছে ঘরবাড়ি। অগণিত মানুষ ঘরছাড়া। রাস্তাও ভেঙে পড়েছে। সে কারণে বিঘ্নিত উদ্ধারকাজ। নৌকায় চেপে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ত্রাণ। চলছে উদ্ধার।
বন্যা পরিস্থিতির কবলে পড়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাংশও। টানা বৃষ্টির কারণে সেখানে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজ শুরু হলেও প্রবল বৃষ্টির কারণে তা ব্যাহত হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালেও ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছিল পাকিস্তান। অন্তত ১৮০০ জনের মৃত্যু হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হন অন্তত ৩ কোটি মানুষ।
পাকিস্তান এবং চিনের সংযোগকারী কারাকোরাম জাতীয় সড়কেও নেমেছে ধস। বৃষ্টি এবং বরফের কারণে বিপর্যয়। গিলগিট বালটিস্তান প্রদেশের মুখপাত্র ফৈজুল্লাহ্ ফারাক জানিয়েছেন, ধসের কারণে এখনও জাতীয় সড়কের বেশ কিছু অংশ বন্ধ রয়েছে। যান চলাচল করতে পারছে না।প্রতি বছর বর্ষা এবং শীতকালীন বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে পাকিস্তান। এ বছর শীতকালীন বৃষ্টি দেরিতে শুরু হয়েছে।