দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল সিপিএম। তবে সেই তালিকায় প্রার্থী সংখ্যা মোটে ৪। প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। মুর্শিদাবাদ কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়বেন তিনি। রানাঘাটে প্রাক্তন সাংসদ অলকেশ দাস, বর্ধমান-দুর্গাপুরে সুকৃতি ঘোষাল এবং বোলপুরে প্রাক্তন বিধায়ক শ্যামলী প্রধানকে প্রার্থী করা হয়েছে।
প্রথম দফায় ১৬টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল বামেরা। তার পরে এক দিন শুধুমাত্র আলিপুরদুয়ার আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে তারা। শনিবার আরও চারটি আসনের জন্য প্রার্থীদের নাম জানালেন বিমান বসু। ফলে এখনও পর্যন্ত ২১টি আসনে প্রার্থী দিল বামেরা। তবে এই দফায় শুধুমাত্র সিপিএমের প্রার্থীদের নামই ঘোষিত হয়েছে। অন্য কোনও শরিক দলের কোনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি।
লোকসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ থেকে যে মহম্মদ সেলিম প্রার্থী হতে পারেন সেই জল্পনা আগে থেকেই ছিল। এর আগে ২০২১-এর বিধানসভায় চণ্ডীতলা কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। তবে তৃণমূল প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন তিনি। এই বছরের লোকসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদে তাঁর বিপরীতে রয়েছেন তৃণমূলের আবু তাহের খান। এবার কী রেজাল্ট হয় তা অবশ্য সময়ের অপেক্ষা।
কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার পথে এগোচ্ছে বামেরা। ইতিমধ্যে কংগ্রেসও বাংলার আটটি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। কংগ্রেসের সঙ্গে আরও কিছু আসন নিয়ে বামেদের আলোচনা চলছে। কিছু আসন নিয়ে বামফ্রন্টে ‘শরিকি ঝামেলা’ও পোহাতে হচ্ছে সিপিএমকে। শনিবার বিমান জানিয়েছেন, এই সমস্ত বিবিধ কারণেই ধাপে ধাপে প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করতে হচ্ছে। কারণ, অনেক ধরনের আলোচনা করতে হচ্ছে।
শরিকদের সঙ্গে যে আসন নিয়ে সিপিএমের মূল সমস্যা রয়েছে, তা হল পুরুলিয়া। যে আসনে ফরওয়ার্ড ব্লক দীর্ঘ দিন ধরে লড়াই করে। এ বার সেখানে কংগ্রেস বর্ষীয়ান নেতা নেপাল মাহাতোকে প্রার্থী করেছে। শনিবার এ বিষয়ে বিমান জানিয়েছেন, আলাপ-আলোচনা করে সবটা জানিয়ে দেওয়া হবে।