Mdh Masala: 'Cancer causing spices': Hong Kong, Singapore ban MDH, Everest

Mdh Masala: ক্যানসারের ঝুঁকি! সিঙ্গাপুরের পর হংকংয়ে নিষিদ্ধ MDH-এভারেস্ট

সিঙ্গাপুরে আগেই নিষিদ্ধ হয়েছিল। এবার হংকংয়ে নিষিদ্ধ হল MDH ও এভারেস্ট মশলা। অভিযোগ উঠেছিল MDH ও এভারেস্টের ফিস কারি মশলায় মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করা হচ্ছে। অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর তা হংকং প্রশাসন খতিয়ে দেখে। এরপর এই দুই সংস্থার মশলাকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।

হংকং প্রশানের সেন্টার ফর ফুড সেফটির তরফে ঘোষণা করা হয়েছে MDH-এর তিনটি মশলা মাদ্রাজ কারি পাউডার, সম্ভার মশলা পাউডার ও কারি পাউডারের মধ্যে ও এভারেস্টের ফিশ কারি মশলায় কীটনাশক ও ইথিলিন অক্সাইডের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। এই রাসায়নিক দিনের পর দিন শরীরের গেলে ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে। তিনটি দোকান থেকে মশলার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল সেন্টার ফর ফুড সেফটির তরফে। সেই নমুনার মধ্যেই এই কীটনাশ ও ইথিলিন অক্সাইডের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছিল। তারপরেই সব দোকান থেকে সেন্টার ফর ফুড সেফটি মশলা বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই ঘটনার পরেই ভারতের অন্যতম নামী দুই মশলা প্রস্তুতকারক সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করল নয়াদিল্লির কেন্দ্রীয় সরকার। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রকের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, সরকারের তরফে দেশের সমস্ত মশলা উৎপাদন কোম্পানির কাছ থেকে তাদের উৎপাদন-জাত সবক’টি পণ্যের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।

শুধু ‘এভারেস্ট’ বা ‘এমডিএইচ’ নয়। তালিকায় থাকবে সবাই। নেওয়া হবে সমস্ত মশলার নমুনা। এই মর্মে দেশের সমস্ত খাদ্য কমিশনারের কাছে বার্তা পাঠানো হয়েছে। তিন থেকে চারদিনের মধ্যে এই নমুনা সংগ্রহের কাজ শেষ হবে। তারপর সেসব খতিয়ে দেখে ২০ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত রিপোর্ট চলে আসবে।

খাদ্য বা প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্যে ইথিলিন অক্সাইড মেশানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ভারতে। এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে ফৌজদারি মামলা অবধি হতে পারে। তাছাড়া বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-সহ একাধিক আন্তর্জাতিক মেডিক্যাল গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইথিলিন অক্সাইডকে ‘গ্রুপ ওয়ান কারসিনোজেন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। অর্থাৎ, এই যৌগের ব্যবহারে ক্যানসার হতে পারে, এমন প্রমাণ রয়েছে। এরপরেও রোজকারের মশলায় এই যৌগের ব্যবহারে রীতিমতো উদ্বেগ তৈরি হয়েছে দেশজুড়ে।