শুক্রবার সকাল থেকে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ চলছে। আর ঘটনাচক্রে এদিনই সন্দেশখালিতে গিয়ে অস্ত্রভাণ্ডার খুঁজতে নেমে পড়েছে সিবিআই। তার পর কেন্দ্রীয় বাহিনী গেছে, এনএসজি কমান্ডোরা গিয়েছেন, তাদের বম্ব স্কোয়াড গিয়েছে। সঙ্গে আবার রোবট। টিভির পর্দায় যখন লাগাতার এটা দেখানো চলছে, তখন উত্তরবঙ্গে তিন আসনে বুথের বাইরে লাইন।
তল্লাশি অভিযানের নেপথ্যে অবশ্য রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র দেখছে তৃণমূল। ভোটের মুখে ‘সাজানো নাটক’ বলেই কটাক্ষ কুণাল ঘোষের। এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “আদৌ ঘটনা নাকি পরিকল্পিতভাবে সাজানো, সেটা খতিয়ে দেখা দরকার। হতে পারে লোকসভা ভোটকে প্রভাবিত করতেই বেছে বেছে ভোটের দিনেই সন্দেশখালির প্রসঙ্গ সামনে আনা হল। যদি কিছু ভোটারকেও প্রভাবিত করা যায়!”
সন্দেশখালি ইস্যু জিইয়ে রাখার জন্য পরিকল্পিত চক্রান্তে অতিনাটকীয় কাজকর্ম করে ভোট প্রভাবিত করার চেষ্টা হচ্ছে দিল্লির তরফ থেকে। আগাম সাজানো নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে। খবর ছড়িয়ে, যন্ত্র নামিয়ে বাজার গরম করছে। পুলিশের আরও সতর্ক থাকা দরকার।
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) April 26, 2024
কুণাল আরও বলেন, “ওখানে অস্ত্র ভাণ্ডার ছিল নাকি বদনাম করার জন্য অন্য কেউ রেখে গেছে, সেটা স্পষ্ট করে এখনই বলা সম্ভব নয। এর আগেও তো কেন্দ্রীয় বাহিনী সন্দেশখালিতে তল্লাশি চালিয়েছে। তখন তো কিছু পাওয়া যায়নি। সেক্ষেত্রে ঘটনা জিইয়ে রাখার জন্য এগুলো করা হচ্ছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখা দরকার। তাছাড়া কী পাওয়া গেছে, কী উদ্ধার হয়েছে এ ব্যাপারে অফিসিয়ালি তো এখনও কিছু জানায়নি কেন্দ্রীয় এজেন্সি। ফলে শুধুমাত্র সূত্রের খবরের ভিত্তিতে প্রতিক্রিয়া দেওয়াটা সম্ভব নয়।”
একই সঙ্গে এ ব্যাপারে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল। তিনি বলেন, “এখনও অফিসিয়ালি সিবিআই কোনও অস্ত্র উদ্ধারের কথা জানায়নি। তবে যদি অস্ত্র ভাণ্ডারের সত্যি সন্ধান পাওয়া গিয়ে থাকে, তাহলে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠবে। কারণ, কেউ যদি বদনাম করার জন্য সন্দেশখালিতে অস্ত্র রেখে এসেও থাকে, তাহলে পুলিশের অবশ্যই আরও সক্রিয় থাকা দরকার ছিল।”
এদিন সন্দেশখালির ঘটাক্রম নিয়ে তৃণমূলের প্রতি আক্রমণ তীব্রতর করেছে গেরুয়া শিবির। জবাবে কুণাল বলেন, “সন্দেশখালিতে যে সমস্যা ছিল, তা তো প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মিটে গেছে। বাকি বিজেপি যেটা বলছে, সেটা অতিরঞ্জিত।”