উত্তর কলকাতায় বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের সঙ্গে একই মঞ্চে উপস্থিত থাকায় বুধবার দলের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে কুণাল ঘোষকে সরিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু দমেননি কুনাল। তার পরেও সুদীপের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে অনড় কুণাল।বৃহস্পতিবার কুণাল ফের বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর থেকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শেখা উচিত বিরোধী রাজনীতি কাকে বলে!
কুণাল যে কথা বলছেন, এক সময়ে সেই কথাটাই বলতেন তাপস রায়। তা হল, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় কেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহর বিরুদ্ধে মুখ খোলেন না। কেন সংসদে ও সংসদের বাইরে মোদীকে দেখলেই আদিখ্যেতা করেন? তৃণমূলের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সি লেলিয়ে দিয়েছে বিজেপি, তা নিয়ে চুপ কেন সুদীপ?
কুণাল ঘোষও এদিন সেই মৌলিক প্রশ্নটাই তোলেন। তাঁর কথায়, শুভেন্দু অধিকারী যেভাবে তৃণমূল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কুৎসা করছেন, তা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কিন্তু এটা মানতেই হবে, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হিসাবে এবং বিজেপির নেতা হিসাবে শুভেন্দু পরিশ্রম করছেন। গোটা রাজ্য চষে বেড়াচ্ছেন। তাঁর দলের জন্য যে কাজটা করার দরকার সেটা করছেন। কিন্তু সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভায় তৃণমূলের নেতা হলেও তাঁকে একবারও নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনা করতে শোনা যাচ্ছে না কেন? এই যে অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা বাংলায় এসে এত কথা বলে যাচ্ছেন, কেন তার পাল্টা বলছেন না সুদীপ!
মাস খানেক আগেও একবার এই প্রসঙ্গ তুলেছিলেন কুণাল। সেই সঙ্গে ইঙ্গিত করতে চেয়েছিলেন চিট ফান্ড কাণ্ড থেকে বাঁচতেই সুদীপ মুখ বন্ধ করে রেখেছেন। সুদীপকে চিট ফান্ড কোম্পানির দালাল বলেও সমালোচনা করেছিলেন কুণাল। তার পর তাঁকে মুখপাত্র পদ থেকে সরানো হয়েছিল।
তবে তাঁকে পদ থেকে সরানোর ব্যাপারে কুণাল বলেন, আমি পদের পরোয়া করিনা। ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি কুণাল ঘোষ নামটা বললেই যেন মানুষ চিনতে পারে।