বাংলায় হিন্দুরা কী পরিস্থিতিতে রয়েছে সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শুক্রবার বিস্ফোরক দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বর্ধমানের জনসভা থেকে তিনি বললেন, ”মনে হচ্ছে বাংলায় তৃণমূল সরকার হিন্দুদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক করে রেখে দিয়েছে!”
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কাল টিভিতে দেখলাম, এখানে বাংলায় তৃণমূলের এক বিধায়ক প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে। তিনি বলছিলেন, হিন্দুদের ২ ঘণ্টায় ভাগীরথিতে ভাসিয়ে দেব। এটা কী ধরণের ভাষা? কী ধরণের রাজনৈতিক সংস্কৃতি? হিন্দুদের ভাসিয়ে দেবে? সত্যিই, কী হাল হয়েছে! বাংলায় হিন্দুদের সাথে কী হচ্ছে? মনে হচ্ছে বাংলায় হিন্দুদের তৃণমূলের সরকার দ্বিতীয় স্তরের নাগরিক করে রেখছে’।মোদীর উন্নয়ন প্রচার গায়েব। উনি এখন বিদ্বেষ ও মেরুকরণ ছাড়া প্রচারের রিস্ক নিতে নারাজ।ওই কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নিয়ে তিনি বুক বাজাতেন সেখানেও সমস্যা বের হয়েছে। বলা হচ্ছে এই ভ্যাকসিনের মারাত্মক প্রভাব রয়েছে।
ভোট প্রচারে সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ূন কবীরের বিরুদ্ধে। সোশ্যাল মিডিয়ার তাঁর এক বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ৩০ শতাংশ লোক মসজিদ ভাঙলে মুর্শিদাবাদ জেলার ৭০ শতাংশ লোক বসে থাকবে না।হুমায়ুঁ কবিরের দাবি, হিন্দুদের নয়, বিজেপিকে উদ্দেশ করে কথাগুলি বলেছিলেন তিনি।
সন্দেশখালির প্রসঙ্গ টেনে মোদী বলেন, ‘এদের জয় শ্রী রাম বললে সমস্যা। জয় শ্রী রাম বললে ওদের জ্বর আসে। এদের রাম মন্দির তৈরিতে সমস্যা। এদের রামনবমীর শোভাযাত্রায় সমস্যা। আমি আজ তৃণমূল সরকারকে প্রশ্ন করতে চাই এখানে সন্দেশখালিতে আমাদের দলিত বোনেদের সাথে এত বড় অপরাধ হল গোটা দেশ পদক্ষেপের দাবি তুলেছিল। কিন্তু তৃণমূল অপরাধীকে বাঁচাতে ব্যস্ত ছিল। তা কি শুধু এইজন্য যে অপরাধীর নাম ছিল শাহজাহাঁ শেখ?’