প্রকাশিত হল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল। এবছর পাশের হার ৯০ শতাংশ। বুধবার দুপুর ১ টা নাগাদ সংসদ আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করল। এবছর পরীক্ষায় নথিভুক্ত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৭ লক্ষ ৫৫ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী। ছাত্রীর সংখ্যা বেশি। ছেলেদের পাশের হার ৯২.৩২। মেয়েদের পাশের হার ৮৮.১৮ শতাংশ। ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছে মাত্র ৮৩৩১ জন।
৯০ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করলেও প্রায় ৬০ শতাংশের প্রাপ্ত নম্বর ৬০ শতাংশের নীচে। কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না তো? ফল ঘোষণার দিন থেকেই ঘনাচ্ছে আশঙ্কার মেঘ। এই বছর প্রথম ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের জন্য তৎকাল পরিষেবা চালু করা হয়েছে। ১০ তারিখ মার্কশিট বিলি করা হবে। পুনর্মূল্যায়নের আবেদন জানানো যাবে ১০-১৩ মে-র মধ্যে। আবেদন পেলে ৭ দিনের মধ্যে রিভাইজ রেজাল্ট পেয়ে যাবেন পরীক্ষার্থীরা।
এবারের প্রথম দশে ১৫ জেলা থেকে রয়েছেন মোট ৫৮ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৩৫ এবং ছাত্রী ২৩ জন। ১৩ জনই হুগলির। প্রথম দশে বাঁকুড়ার ৯ জন। চতুর্থ স্থানে কলকাতা। মেধাতালিকায় কলকাতার ৫ জন। পঞ্চম স্থানে পূর্ব বর্ধমান ও পূর্ব মেদিনীপুর।
একনজরে প্রথম দশে কারা?
- মেধাতালিকায় প্রথম স্থানে আলিপুরদুয়ারের ম্যাক উইলিয়ামস স্কুলের অভীক দাস। প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬। ৯৯.২ শতাংশ।
- দ্বিতীয় স্থানে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের সৌম্যদীপ সাহা (৪৯৫)।
- তৃতীয় স্থানে মালদহের অভিষেক গুপ্ত (৪৯৪)।
- চতুর্থ কোচবিহারের প্রতীচী রায় তালুকদার এবং চন্দননগরের স্নেহা ঘোষ। মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন তাঁরা। প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩।
- পঞ্চম স্থানে ৭ জন: সায়ন্তন মাইতি (কাঁথি), সুস্বাতী কুন্ডু (বাঁকুড়া), সুত্তর্থীতা সরকার (মালদহ), সৌনক কর (কলকাতা), সানন্দা রায় (বীরভূম), অঙ্কিত পাল (বাঁকুড়া), অর্ণব কর্মকার (মালদহ)। প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯২।
- ষষ্ঠ স্থানে ৮ জন। প্রাপ্ত নম্বর ৪৯১। রুদ্র দত্ত (হুগলি), শুভদীপ সিনহা মহাপাত্র (বাঁকুড়া), নিলয় চট্টোপাধ্যায় (দক্ষিণ ২৪ পরগনা), মানস্বী চন্দ (কোচবিহার), সৌম্যজিৎ নন্দী (বীরভূম), অভ্রকিশোর ভট্টাচার্য (হুগলি), আফরিন মণ্ডল (পূর্ব বর্ধমান), অনিমেষ লায়েক (বাঁকুড়া)।
- সপ্তম হয়েছেন ৫ জন: সৌমিক ধবল (বাঁকুড়া), ঋতব্রত দাস (হুগলি), বিদিশা সন্নিগ্রাহি (বাঁকুড়া), অঙ্কিতা সরকার (উত্তর দিনাজপুর), মহম্মদ সঈদ (হুগলি)। সকলের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯০।
- অষ্টম হয়েছেন ৬ জন: অর্ঘ্যদীপ দত্ত (কলকাতা), অস্মিতকুমার মুখোপাধ্যায় (হুগলি), সোমশুভ্র কর্মকার (হুগলি), রুমা কোনার (বাঁকুড়া), কৌশিক ঘোষ (মুর্শিদাবাদ), সিঞ্চন দত্ত (বাঁকুড়া)। সকলের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৯।
- নবম হয়েছেন ১১ জন: অন্বেষা দত্ত (আলিপুরদুয়ার), পৃথা দত্ত (হুগলি), পীতাম্বর বর্মন (উত্তর দিনাজপুর), অহন চক্রবর্তী (উত্তর ২৪ পরগনা), কুশল ঘোষ (নদিয়া), আদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায় (দক্ষিণ ২৪ পরগনা), অর্পন গোস্বামী (বাঁকুড়া), অর্ক সাহা (দক্ষিণ ২৪ পরগনা), বৃষ্টি পাল (হুগলি), বিতান আহমেদ (দক্ষিণ ২৪ পরগনা), উজান চক্রবর্তী (কলকাতা)। সকলের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৮।
- দশম স্থানে ১৬ জন পরীক্ষার্থী: সৃজনী ঘোষ (হুগলি), বৃষ্টি দত্ত (হুগলি), তন্নিষ্ঠা দাস (কলকাতা), সোহা ঘোষ (হুগলি), অন্তরা শেঠ (পূর্ব বর্ধমান), ইন্দ্রাণী সেন (পূর্ব বর্ধমান), সুকৃতী মণ্ডল (হাওড়া), দেবপ্রিয়া বর (পূর্ব মেদিনীপুর), শতপর্ণা মিল (কলকাতা), সোহম কোনার (পূর্ব বর্ধমান), সোহম মুখোপাধ্যায় (দক্ষিণ ২৪ পরগনা), অনিশ ঘোড়াই (পূর্ব মেদিনীপুর), শুভজিৎ ঘোষ (দক্ষিণ ২৪ পরগনা), তৌফিক মামুদ (হুগলি), সংসপ্তক আদক (পূর্ব মেদিনীপুর), অঙ্কিতা ঘোষ (কোচবিহার)। সকলের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৭।