সুপ্রিম কোর্টে অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ১ জুন, লোকসভা ভোটের শেষ দফা পর্যন্ত জেলের বাইরে থাকবেন তিনি। ২ জুন তাঁকে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে। দিল্লির ‘আবগারি দুর্নীতিকাণ্ডে’ গত ২১ মার্চ তাঁকে গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সেই থেকে তিহাড়ে বন্দি আপ প্রধান। গ্রেফতারির ৫০ দিন পর জামিন পেলেন কেজরি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় তিহাড় জেল থেকে বেরলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অপেক্ষায় ছিল জনসমুদ্র। তাঁদের সামনে ২৫ মে দেশের গণতন্ত্রকে ‘একনায়কত্বে’র হাত থেকে রক্ষা করতে ভোট দেওয়ার আবেদন জানাতে দেখা গেল কেজরিকে। আদালতের রায়ের পর থেকেই শুরু হয়েছিল অপেক্ষা।তিহাড় জেলের বাইরে থিকথিকে ভিড় জমান আম আদমি পার্টির কর্মী-সমর্থকরা। গিয়েছেন স্বয়ং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিংহ মান। সমর্থকদের সঙ্গে সেখানে উপস্থিত ছিলেন কেজরি জায়া সুনীতা কেজরিওয়াল এবং অতীশি, সৌরভ ভরদ্বাজের মতো সিনিয়র নেতারাও। যেদিকে চোখ যায়, শুধু আপের পতাকা আর সমর্থকের ভিড়।কেজরি বেরোতেই বাজি ফাটতে শুরু করে, বিলি করা হয় মিষ্টি।
সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা সবাই আমাকে আশীর্বাদ করেছেন। আপনাদের ধন্যবাদ। ধন্যবাদ সুপ্রিম কোর্টকেও। বিচারপতিদের জন্যই আজ আমি আপনাদের সামনে আসতে পেরেছি। আমাদের সবাইকে একসঙ্গে লড়ে দেশকে এই একনায়কতন্ত্র থেকে বাঁচাতে হবে।’ সূত্রের খবর, তিহাড় থেকে বেরিয়ে সোজা বাড়ির উদ্দেশ্যেই রওনা দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। আগামীকাল দুপুর ১ টায় আপের সদর দফতরে সাংবাদিক সম্মেলন করতে পারেন কেজরিওয়াল।
সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি সঞ্জীব খন্না ও দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ জানিয়েছে, ১ জুন অবধি তাঁরা কেজরিওয়ালের জামিন মঞ্জুর করছেন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্পষ্টভাবে রয়েছে, ‘অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও দেশের একটি জাতীয় দলের নেতা। নিঃসন্দেহে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। কিন্তু তিনি দোষী প্রমাণিত হ’ননি। তাঁর কোনও অপরাধের ইতিহাসও নেই। সমাজের জন্য তিনি কোনওভাবে ঝুঁকি নন।’ বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছেন, “নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024) না চললে হয়তো কেজরিকে জামিন দেওয়ার কথা আমরা ভাবতাম না।”