জেল থেকে ছাড়া পেয়ে একাধিক বোমা ফাটিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। শনিবার সাংবাদিক সম্মলনে তিনি যেসব কথা বসেছে তা নিয়ে মাথা ঘামাতে বাধ্য হচ্ছে বিজেপি। এদিন তিনি বলেন, বিজেপি ফের ক্ষমতায় এলে কোনও বিরোধী নেতাকে ছাড়বে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এম কে স্ট্যালিন, পিনরাই বিজয়নের জেল হবে। উদ্ধব ঠাকরের জেল হবে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অবসর গ্রহণের ব্যাপারেও মন্তব্য করে বসেছেন। এনিয়ে পাল্টা মন্তব্য করেছেন অমিত শাহ।
লোকসভা ভোটের প্রচার পর্বের মাঝে এবার বিজেপির তরফে প্রধানমন্ত্রী কে থাকবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জাতীয় রাজনীতিতে ঝড় তুলেলন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আপ প্রধান বলেন,’ওঁরা (বিজেপি) ইন্ডিয়া জোটকে জিজ্ঞাসা করে যে কে হবেন, আপনাদের প্রধানমন্ত্রী। আমি বিজেপিকে জিজ্ঞাসা করি যে কে হবেন আপনাদের প্রধানমন্ত্রী?..’
এদিন কেজরিওয়াল বলেন, ২০১৪ সালে খোদ মোদীজি একটি নিয়ম বানিয়েছিলেন বিজেপি নেতারা ৭৫ বছর বয়সের পর অবসর নেবেন। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর ৭৫ বছর পা দেবেন। পরের বছর অবসর নেবেন। প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করতে চাই আপনি কি অমিত শাহকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য ভোট চাইছেন? অমিত শাহকি মোদজি কী গ্যারান্টি পূর্ণ করতে পারবেন?এদিকে কেজরিওয়ালের ওই মন্তব্যর পরপরই এনিয়ে মুখ খুলেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেন, মোদীজি তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হবেন এবং তার গোটা টার্ম পূরণ করবেন। মোদীজি হলেন গ্রহণযোগ্যতার প্রতীক। আর কেজরিওয়াল হলেন ক্রাইসিসের প্রতীক।
এরপর তিনি বলেন,’আপনারা ভাবছেন কেজরিওয়াল এসব কী বলছেন, … মোদীজিই হবেন!…. না… মোদীজি পরের বছর ১৭ সেপ্টেম্বর ৭৫ বছর বয়সী হবেন। বিজেপির অন্দরে ২০১৪ সালে মোদীজি নিজে নিয়ম করেছিলেন যে , বিজেপির অন্দরে যিনিই ৭৫ বছরের হবেন তাঁকেই অবসর গ্রহণ করানো হবে। সবচেয়ে আগে আদবানিজিকে অবসর নেওয়ানো করা হয়েছিল, পরে মুরলী মনোহর যোশীকে, তারপর যশবন্ত সিনহা, তারপর সুমিত্রা মহাজনকে অবসর গ্রহণ করানো হয়। আর এবার প্রধানমন্ত্রী মোদী অবসর নেবেন ১৭ সেপ্টেম্বর।’ একইসঙ্গে কেজরিওয়াল বলতে থাকেন,’ যদি ওদের (বিজেপি জোট) সরকার হয় , তাহলে প্রথম ২মাসে এরা যোগীজির নাম কাটবে, পরে মোদীজির সবচেয়ে কাছের অমিত শাহকে ওরা প্রধানমন্ত্রী করবেন।’