কথায় কথায় দাবি করেন, তিনি নাকি ‘ফকির আদমি’। দেশ ও দোষের ভালো করতেই এসেছেন। ক্ষমতার কোনও লোভ নেই। মানুষ না চাইলে তিনি নাকি ঝোলা নিয়ে চলে যাবেন কোথাও একটা।মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে পাশে নিয়ে লোকসভা ভোটের মনোনয়নপত্র পেশ করেছেন নরেন্দ্র মোদী। তারপরই ‘ফকির আদমি’র সম্পত্তির খতিয়ান প্রকাশ্যে এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী যে হলফনামা জমা দিয়েছেন তাতে তিনি উল্লেখ করেছেন, তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩.০২ কোটি টাকা। তার মধ্যে ২.৮৬ কোটি টাকা ফিক্সড ডিপোসিট। মোদীর হাতে নগদ রয়েছে ৫২,৯২০ টাকা এবং গান্ধীনগর এবং বারাণসীর দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে রয়েছে ৮০,৩০৪ টাকা।
ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেটে নরেন্দ্র মোদীর ৯.১২ লক্ষ টাকার বিনিয়োগ রয়েছে এবং ২.৬৮ লক্ষ টাকার চারটি সোনার আঙটির মালিক তিনি, এটাও হলফনামায় জানানো হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের তুলনায় ২০২২-২৩ সালে মোদীর উপার্জনও বেড়েছে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি মামলা নেই বলেও স্পষ্ট জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সে সময়কার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল আড়াই কোটি টাকা। গুজরাটের গান্ধীনগরে একটি বাড়ি রয়েছে বলেও গত লোকসভা নির্বাচনের সময় উল্লেখ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। যেটির সে সময়কার বাজারদর ছিল ১ কোটি ১ লাখ টাকা। এ ছাড়া ছিল ১ কোটি ২৭ লাখ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট। পাঁচ বছর আগে ভোটের সময় নরেন্দ্র মোদীর হাতে নগদ ছিল ৩৮ হাজার ৭৫০ টাকা। ২০১৯ সালের হলফনামা অনুযায়ী, মোদীর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৪১ লাখ টাকা। স্থাবর সম্পত্তি ছিল ১ কোটি ১ লাখ টাকা। কর ছাড়যুক্ত বন্ডে তাঁর ইনভেস্টমেন্ট ছিল ২০ হাজার টাকার, NSC সার্টিফিকেট ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার টাকার এবং ছিল ১ লাখ ৯০ হাজার টাকার LIC। মোদীর সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল ৪ হাজার ১৪৩ টাকা।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। বিগত ১০ বছরে ১ কোটি ৩৭ লাখ ৬ হাজার ৮৮৯ টাকা সম্পত্তি বেড়েছে প্রধানমন্ত্রীর।