Gaming Zone Fire: Children Among 35 Killed In Rajkot Gaming Zone Fire; SIT Probe Ordered

Gaming Zone Fire: গুজরাতের গেমিং জোনে অগ্নিকাণ্ডে মৃত অন্তত ৩৫, গ্রেফতার মালিক-সহ তিন

গুজরাতের রাজকোটের গেমিং জোনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রবিবার ভোর পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ৩৫। এর মধ্যে ৯ জন শিশু রয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর।

শনিবার রাজকোটের গেমিং জ়োনে ভয়াবহ আগুন লাগে। বিকেল থেকে রাতভর চলে আগুন নেভানো ও উদ্ধারকাজ। ঘটনাস্থলে রয়েছে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন। দমকল কর্তারা মনে পড়ছেন, গেমিং জোনের ভিতরে আরও একাধিক মৃতদেহ থাকতে পারে। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট গেমিং জোনের মালিক মালিক যুবরাজ সিং সোলাঙ্কি, টিআরপি গেম জোনের ম্যানেজার নিতিন জৈন-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ইতিমধ্যে সিনিয়র আইপিএস অফিসার সুভাষ ত্রিবেদীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি সিট গঠন করেছে সরকার। প্রাথমিক তদন্তে সিট জানতে পেরেছে, এই ধরনের গেমিং জোন চালানোর জন্য পরিকাঠামোগত যে অনুমতি প্রয়োজন তা ছিল না, সংশ্লিষ্ট সংস্থার। ধৃতদের জেরা করে এ ব্যাপারে আরও বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। রাজকোটের অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার (এসিপি) বিনায়ক পটেল জানিয়েছেন, “দেহগুলি এমন ভাবে ঝলসে গিয়েছে যে, শনাক্ত করা যাচ্ছে না। ডিএনএর নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে দেহগুলি শনাক্তকরণের জন্য। তিন জন এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল।”

রবিবার ভোরেই ঘটনাস্থলে যান মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল। সেখান থেকে তিনি আহতদের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালেও যান। ঘটনাস্থলে এসেছিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংভিও। তাঁর কথায়, “আমাদের কাছে যা খবর এসেছে, তাতে জানতে পেরেছি যে, এখনও এক জন নিখোঁজ রয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে রয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আরও উদ্ধারকারী দলকে কাজে লাগানো হচ্ছে।”

ঘটনার পরই গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল আহতদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশ দেন। ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করে মৃতদের পরিবার পিছু ৪ লাখ এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে গুজরাত সরকার। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় টুইটে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

পুলিশ এবং দমকলবাহিনী জানিয়েছে, আগুন লাগার সময় গেমিং জোনের ভিতরে অনেকেই ছিলেন। ছিল শিশুরাও। আসলে এই রকম ঘেরা জায়গায় কার রেসিং থেকে শুরু করে নানা ধরনের ইনডোর এবং আউটডোর গেমের ব্যবস্থা থাকে।  শনিবার ছুটির দিন থাকায় সেখানে মানুষের উপচে পড়া ভিড় ছিল। তারই মধ্যে ঘটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা।