তিনি মৃদুভাষী বলেই পরিচিত। কথা বলেন খুব কম।অত্যন্ত প্রাজ্ঞ। বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ।রিজার্ভব্যাংকের প্রাক্তন গভর্নর।ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। জীবনে কখনো ঘৃণা ভাষণ দিতে হয়নি তাঁকে। সে মনমোহন সিং এবার ঘৃণা ভাষণ নিয়ে মোদির বিরুদ্ধে মুখ খুললেন। তিনি বলেন,নরেন্দ্র মোদির মতো এত বেশি ঘৃণাভাষণ আর কোনও প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোনা যায়নি। তাঁর মতে, জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময়ে অত্যন্ত নিম্নরুচির ভাষা প্রয়োগ করেছেন মোদি। এই আচরণের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদেরও অবমাননা হয়েছে বলে মত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর।
লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha 2024) প্রচারের শেষ দিন বৃহস্পতিবার। আগামী শনিবার দেশজুড়ে সপ্তম অর্থাৎ শেষ দফার ভোটগ্রহণ হবে। তার আগে পাঞ্জাবের ভোটারদের খোলা চিঠি লিখেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। ওই চিঠিতেই মোদির তীব্র সমালোচনা করেছেন মনমোহন। তিনি বলেন, “নির্বাচনী প্রচারে মোদি কীভাবে কথা বলেছেন সেটা খেয়াল করেছি। ঘৃণাভাষণের সবচেয়ে জঘন্যতম পর্যায়ে নেমে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদিই হলেন প্রথম প্রধানমন্ত্রী যে জনসভায় এমন জঘন্য ভাষা প্রয়োগ করেছেন। এইভাবে প্রধানমন্ত্রী পদেরও অবমাননা করেছেন তিনি।”(Prime Minister Narendra Modi of “lowering the dignity of the Prime Minister’s Office (PMO) with hate speeches”)
মনমোহন চিঠিতে লিখেছেন, ‘দেশের একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির মানুষ এবং বিরোধীদের নিশানা করতে আগের কোনও প্রধানমন্ত্রী এমন জঘন্য, অসংসদীয় এবং নিম্নমানের ভাষার প্রয়োগ করেননি। আমার মন্তব্য বলে কিছু মিথ্যে দাবি করা হয়েছে। জীবনে কখনও এক সম্প্রদায়কে অন্য সম্প্রদায়ের থেকে আলাদা করে দেখিনি আমি। বিজেপি-র এটাই স্বভাব এবং অভ্যাস’।
Former Prime Minister Dr Manmohan Singh ji’s appeal to the people of #Punjab, says :
“In the past ten years, BJP government has left no stone unturned in castigating Punjab, Punjabis & Punjabiyat
750 farmers, mostly belonging to Punjab, were martyred while incessantly waiting… pic.twitter.com/7k5451siHH
— Supriya Bhardwaj (@Supriya23bh) May 30, 2024
খোলা চিঠিতে দেশে শান্তি এবং সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখতে আর্জি জানিয়েছেন মনমোহন। তাঁর আর্জি, ‘উন্নয়ন এবং সার্বিক অগ্রগতির পক্ষে পঞ্জাবের মানুষকে ভোট দিতে আর্জি জানাচ্ছি আমি। যুবজমাসকে বলব, ভোটদান নিয়ে সজাগ হোন, ভবিষ্যতের কথা ভেবে ভোট দিন। একমাত্র কংগ্রেসই উন্নয়ন নির্ভর, ভবিষ্যৎমুখী প্রগতির প্রতিশ্রুতি দিতে পারে, যেখানে গণতন্ত্র এবং সংবিধান সুরক্ষিত থাকবে’। মনমোহনের কথায়, “স্বৈরাচারী শাসকের অবিরাম আঘাত থেকে গণতন্ত্র এবং সংবিধানকে বাঁচানোর এটাই শেষ সুযোগ।”
গত মাসেই রাজস্থানে নির্বাচনী প্রচীরে গিয়ে মনমোহনের কথা উল্লেখ করেন মোদি। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তেহার বলছে, ওরা মা-বোনেদের সোনা ছিনিয়ে বিলিয়ে দেবে। মনমোহন সিংহের সরকার বলেছিল, দেশের সম্পদের উপর প্রথম অধিকার মুসলিমদেরই। শহুরে নকশালদের এই মানসিকতা মা-বোনেদের মঙ্গলসূত্রও ছাড়বে না’।