লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে তৃণমূলের জয়জয়কার। ২৯ আসনে জয়ী হয়েছে ঘাসফুল শিবির। শনিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নব নির্বাচিত সাংসদদের নিয়ে বৈঠক বসেন। সংসদে তৃণমূলের (TMC) গুরুত্বপূর্ণ পদে আগের জায়গায় থাকছেন বর্ষীয়ান সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও ব্রায়েন। সুদীপ লোকসভার দলনেতা এবং ডেরেক রাজ্যসভার দলনেতাই থাকছেন। লোকসভার উপ দলনেতা অর্থাৎ ডেপুটি লিডার বারাসতের পুনর্নির্বাচিত সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। রাজ্যসভায় ডেপুটি লিডারের দায়িত্ব সামলাবেন সাগরিকা ঘোষ। এছাড়া সংসদের দুই কক্ষে মুখ্য সচেতকদের নামও ঘোষণা করেছেন দলনেত্রী।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক সংসদে তৃণমূলের প্রতিনিধিত্ব।
- সংসদীয় কমিটির চেয়ারপার্সন – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
- লোকসভার দলনেতা – সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
- উপ দলনেতা – কাকলি ঘোষ দস্তিদার
- চিফ হুইপ – কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
- রাজ্যসভার দলনেতা – ডেরেক ও ব্রায়েন
- উপ দলনেতা – সাগরিকা ঘোষ
- চিফ হুইপ – নাদিমুল হক
এসব নাম ঘোষণার পাশাপাশি সংসদের রণকৌশলও ঠিক করে দেন তিনি। জানান, ”আমরা বসে থাকার জন্য সংসদে যাচ্ছি না। আমরা CAA, NRC বাতিলের দাবিতে সোচ্চার হব। নিজেদের বকেয়া মেটানোর দাবি তুলব। তা মেটাতেই হবে।” মমতার কথায়, ”বাংলার যা যা পাওনা আছে সেগুলো আমরা চাই আগে দিয়ে দেওয়া হোক। আমাদের এবার শক্তি অনেক বেশি। ডেরেক, দোলা, নাদিম, সাগরিকা যাবে হরিয়ানায় কিশানদের সঙ্গে দেখা করবে। তাঁদের ডেইলি ওয়েজ নিয়ে দাবি তুলবে। শেয়ার এত বেড়ে গেল কী করে? নিশ্চয়ই কিছু ডাল মে কালা। ভোটের দিন, ফলের দিন যা যা হয়েছে, এটা বড় স্ক্যাম। তদন্ত করতে হবে। আমরা দাবি তুলছি।”