SEBI probe demanded by TMC against PM Modi and HM Amit Shah

SEBI: ১ দিনে ক্ষতি ৩০ লক্ষ কোটি! শেয়ার বাজারের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে মোদী-শাহ, তদন্ত চেয়ে সেবির দ্বারস্থ তৃণমূল

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে বলে বিনিয়োগকারীদের প্রভাবিত করেছেন নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ! প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তেমনটাই অভিযোগ তুলে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি-র দ্বারস্থ হল তৃণমূল। সেবি-র চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচকে চিঠি পাঠিয়ে পূর্ণ তদন্তের দাবি জানিয়েছে বঙ্গের শাসকদল। এর আগে গত ৫ জুনও সেবিকে চিঠি পাঠিয়েছিল তৃণমূল। দলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলের দাবি ছিল, ভুয়ো বুথফেরত সমীক্ষার মাধ্যমে কারসাজি করে শেয়ার বাজারের সূচককে তোলা হয়েছিল কি না, তা নিয়ে তদন্ত প্রয়োজন। মঙ্গলবার আবার নতুন অভিযোগ তুলে সেবির দ্বারস্থ হল তৃণমূল। দলের তরফে এই অভিযোগটিও করেছেন সাকেত।

লোকসভা ভোট চলাকালীন অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদী এনডিটিভিতে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। সেখানেই অমিত শাহ বলেছিলেন, “৪ জুনের আগে শেয়ার কিনে নেবেন, ওটা শুট আপ করবে”। আবার মোদী তাঁর সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ”৪ জুন ভোটের ফল প্রকাশের পর শেয়ার বাজারে এমন তেজ আসবে যে তাদের  সমস্ত প্রোগ্রামিং ফেল করে যাবে।” কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী দাবি করেছিলেন, ৫ কোটি ঘরোয়া বিনিয়োগকারীদের উস্কে দেওয়া হয়েছে এমন মন্তব্য করে। কমপক্ষে ৩০ লক্ষ কোটি টাকার শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারির হয়েছে।

তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে (TMC MP Saket Gokhale) সেবির দ্বারস্থ হয়ে তৃণমূল সাংসদ অভিযোগ করেছেন, বিজেপির বিরাট জয় নিশ্চিত দাবি করে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে উসকানি দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শা। ৩ এবং ৪ জুন শেয়ার মার্কেটে এই কারণে ব্যাপক অস্থিরতা তৈরি হয়। মোদি-শা’র মন্তব্যের কারণে শেয়ার বাজারে কোনও কারচুপি করা হয়েছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা দরকার। শেয়ার বাজারের সূচককে কারসাজি করে তোলা হয়েছিল বলে সন্দেহ সাকেতের।

প্রায় অধিকাংশ এক্সিট পোল দেখিয়েছিল এবারের লোকসভা ভোটে বড় জয় পেতে চলেছে বিজেপি। এরপরই শেয়ারের দাম হু হু করে বাড়তে থাকে। কিন্তু ফলাফলের দিন দেখা যায়, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতাও পায়নি বিজেপি। ফলে বিপর্যয়ের মতো ধসে পড়ে শেয়ার বাজার। গত ২ বছরের মধ্যে একদিনে সর্বনিম্ন ধস নামে দালাল স্ট্রিটে। সেনসেক্স ৩৭০০ পয়েন্ট এবং নিফটি ২২,১৪০ পয়েন্ট নেমে যায়। লগ্নিকারীদের ৩১ লক্ষ কোটি টাকা লোকসান হয়।

তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, বুথফেরত সমীক্ষায় জড়িত একটি সংস্থাকে বিজেপি নিজস্ব সমীক্ষা চালানোর জন্য ভাড়া করেছিল। সেই সংস্থা আবার সংবাদমাধ্যমের জন্যও সমীক্ষা করেছে। ওই সংস্থা ইচ্ছাকৃত ভাবে বিজেপির জয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিল কি না এবং কোন কোন সংস্থা বাজারের ওঠানামা থেকে মুনাফা কুড়িয়েছে, তা নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছিল তৃ়ণমূল। এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।