সোমবারের কাঞ্চনজঙ্ঘা দুর্ঘটনার নেপথ্যে কেন্দ্রকেই দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। সোমবার সন্ধেবেলা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে আহতদের দেখে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁর বক্তব্য, ”যাত্রী সুরক্ষার দিকে একেবারেই নজর দেয়নি। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মতো বিলাসবহুল ট্রেন চালু করতে গিয়ে পরিকাঠামো উন্নয়ন, সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে ভাবা হয়নি। যার জন্য এই বেহাল দশা।এসব বলতে খারাপ লাগছে। কিন্তু বলতেই হচ্ছে, রেলের চূড়ান্ত গাফিলতির পরিণাম এই দুর্ঘটনা।” মুখ্যমন্ত্রী জানান, ঘটনায় মোট ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর আহতদের মধ্যে ১ জন ছাড়া বাকিদের অবস্থা স্থিতিশীল বলেও জানান তিনি।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘জানি না রেলে কী চলছে জানি না। মানুষকে ট্রেন ছেড়ে বাইক নিতে নয়, সাইকেল নিতে হয়। কখনও কখনও মানুষ বুঝতেই পারে না, বাড়ি কী ভাবে ফিরবে? কোনওরকম আগাম তথ্য ছাড়াই গাড়ি বাতিল করা হয়। ফলে খুব সমস্যা হয়। রেলের বাজেট বন্ধ করে দিয়েছে। আগে রেল যে গুরুত্ব পেত তা এখন আর পায় না।’মুখ্যমন্ত্রী জানান, দুর্ঘটনাস্থলে তিনি যাচ্ছেন না। এদিন সকালেই তিনি স্থানীয় বিধায়ক হামিদুল রহমানকে ফোন করে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে দুর্ঘটনার পরেই, মেডিক্যাল দল, উদ্ধারকারী দল সহ সব ধরনের সহযোগিতায় পাঠান হয়েছে হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আগেই উত্তরবঙ্গ মেডিকেলে যান উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। সঙ্গে ছিলেন বুলু চিকবড়াইক। রেল দুর্ঘটনায় আহতদের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উদয়ন বলেন, ‘এই দুর্ঘটনার সম্পূর্ণ দোষ রেলের। রেলমন্ত্রক এর দায় অস্বীকার করতে পারে না। অবিলম্বে রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।’
উত্তরবঙ্গে আসার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে মমতা বলেন, ‘রেল অনাথ হয়ে গিয়েছে। দেখার কেউ নেই।’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস শুরু করেছিলাম। সেই সময়ে আমি কঙ্কন রেলে ব্যবহার করেছিলাম। নিজে গিয়েছিলাম মারগাঁওয়ে। আজকে কেউ কেউ তার নতুন নাম দিতে পারেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, নতুন নাম দিলেও যাত্রীদের নিরাপত্তা বলে কিছু নেই।’ মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘এখন শুধু ঘোষণার নামে কথার ফুলঝুরি হচ্ছে। অথচ কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না।’