সোমবার কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বিকেলেই উত্তরবঙ্গে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(CM Mamata Banerjee )। হাসপাতালে গিয়ে দুর্ঘটনায় জখম যাত্রীদের সঙ্গে দেখা করেন। দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে সড়কপথে রাতে তিনি পৌঁছে যান কোচবিহারে। মঙ্গলবার মদনমোহন মন্দিরে পুজো দিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয় ছোটে চকচকার দিকে। সেখানেই বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজের বাড়ি। যে বাড়িকে স্থানীয়েরা ‘প্রাসাদ’ বলেন । মুখ্যমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য অনন্ত (Ananta Maharaj)অপেক্ষা করছিলেন বাড়ির বাইরে। মমতা সেখানে এসে পৌঁছতেই অনন্ত ছুটে এসে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। গলায় পরিয়ে দেন রাজবংশী উত্তরীয়। হাতে তুলে দেন রাজবংশী ঐতিহ্যবাহী গুয়াপান। মুখ্যমন্ত্রীর আগমনে বেশ খুশি বিজেপি সাংসদ নগেন রায় তথা অনন্ত মহারাজ। যদিও তাঁর এভাবে আচমকা আসার কারণ তিনি জানেন না বলেই দাবি করলেন।
লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে ফুটেছে ‘ঘাসফুল’। নিশীথ অধিকারীকে হারিয়ে কোচবিহারে জিতেছেন তৃণমূলের জগদীশ বর্মা বসুনিয়া। কোচবিহারে নিশীথের সমর্থনে প্রচারে অনন্ত মহারাজকে সেভাবে সক্রিয় থাকতে দেখা যায়নি। তাই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও এনিয়ে অনন্ত মহারাজ বা তৃণমূল দু’তরফই মুখে কুলুপ এঁটেছে।
লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে ফুটেছে ‘ঘাসফুল’। নিশীথ অধিকারীকে হারিয়ে কোচবিহারে জিতেছেন তৃণমূলের জগদীশ বর্মা বসুনিয়া। কোচবিহারে নিশীথের সমর্থনে প্রচারে অনন্ত মহারাজকে সেভাবে সক্রিয় থাকতে দেখা যায়নি। তাই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও এনিয়ে অনন্ত মহারাজ বা তৃণমূল দু’তরফই মুখে কুলুপ এঁটেছে।
রাজনৈতিক মহল বলেছেন মমতা ছাব্বিশের বিধানসভার আগে বঙ্গ বিজেপিকে নিজের জাহ্যাগ দেখিয়ে দিতে চাইছেন। আস্ফালন আর রাজনীতি যে এক জিনিস নয়, তা বহিয়ে দিতে চাইছেন। সম্প্রতি অধীর-শুভেন্দুরা তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন। লোকে বলছে আড়ালে আবডালে নাকি বিজেপির লোকেরাও আজকাল শুভেন্দুকে ‘গদ্দার’ বলে ডাকছেন। অধরকেও নাকি কেউ কেউ ‘বাদাম কাকু’ বলছেন। উনি একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন এবারের ভোট হেরে গেলে রাজনীতি ছেড়ে বাদাম বেচবেন। সে কাজ উত্তমধেই শুরু করে দিয়েছেন কিনা সে খবর অবশ্য মিডিয়ার কাছে নেই। উত্তরের হাওয়া ঘুরিয়ে মমতা ফের প্রমান করলেন তিনি গেম চেঞ্জার। তবে অস্বীকারের উপায় নেই যে অভিষেক যেভাবে তৃণমূল সংগঠনকে মজবুত করেছে, তাতে তৃণমূল এখন কেবল মমতার তীব্র আবেগ ও এনার্জি সম্বলিত একটি দল নয়। তৃণমূল এখন একটি অর্গানাইজড পার্টি।