অনেক অনুরোধ করে প্রেমিককে বিয়ের জন্য রাজি করিয়েছিলেন প্রেমিকা। কিন্তু নির্দিষ্ট দিনে প্রেমিক এলেনই না আদালতে। সেই রাগে ওই যুবকের যৌনাঙ্গ কুপিয়ে কেটে দিল প্রেমিকা! সোমবার বিহারের সারান জেলার এই ঘটনায় পেশায় চিকিৎসক ওই তরুণীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ওই চিকিৎসক (২৫) বিগত পাঁচ বছর ধরে ওই ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। তিনি আবার মধুরা ব্লকের কাউন্সিলর। দীর্ঘদিন ধরেই মহিলা চিকিৎসক বিয়ের জন্য চাপ দিলেও, কিছুতেই কাউন্সিলর তাঁকে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত ওই ব্যক্তি রাজি হন রেজিস্ট্রি বিয়েতে। গত সপ্তাহে তাঁদের কোর্টে বিয়ে করার কথা ছিল। মহিলা চিকিৎসক নির্দিষ্ট সময়ে আদালতে পৌঁছলেও, সারাদিন অপেক্ষা করার পরও কাউন্সিলর আসেননি তাঁকে বিয়ে করতে।
এতেই ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন তরুণী। পরে প্রেমিকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি নানা বাহানা দেন। পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার পরিকল্পনা মতো প্রেমিককে বাড়িতে ডেকে পাঠান অভিযুক্ত তরুণী। অভিযোগ, ওই যুবক বাড়িতেই আসতেই ছুরি নিয়ে তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। যুবকের যৌনাঙ্গ কেটে টুকরো করে ফেলেন। তার পর সেগুলো শৌচালয়ে নিয়ে গিয়ে ফ্ল্যাশ করে দেন তিনি। যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন যুবক। তাঁর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন।
থানায় খবর দিলে রক্তাক্ত অবস্থায় যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। বর্তমানে পটনা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই কাউন্সিলর। এই ঘটনায় তরুণীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।