এতদিন কথায় হোঁচট খাচ্ছিলেন জো বাইডেন। আর এবার তিনি হয়ত চোখেও ‘ধোকা’ খেলেন। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় বাইডেনের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে, নিজের স্ত্রী ভেবে তিনি অন্য একজন মহিলাকে চুম্বন করতে গিয়েছিলেন। পরে জিল বাইডেন এসে তাঁকে আটকান। উল্লেখ্য, জিল এবং সেই মহিলা, উভয়ই নীল রঙের জ্যাকেট পরেছিলেন।
সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে একজন মহিলার সঙ্গে গল্প করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাঁর হাবেভাবে স্পষ্ট যে তিনি তাঁকে স্ত্রী বলে মনে করছেন। এমনকী তাঁকে চুম্বন করতেও উদ্যত হন তিনি। ওই অবস্থায় স্বামীকে সামাল দিতে সেখানে ছুটে আসতে দেখা যায় জিল বাইডেনকে। স্বামীর সামনে এসে তাঁকে কিছু বলেন জিল। স্ত্রীর কথা শোনার পর বাইডেন বুঝতে পারেন বড়সড় ভুল করতে চলেছিলেন তিনি। তাঁর স্ত্রী স্টেজ থেকে নেমে আসার পর নিরাপত্তারক্ষীরা মহিলাকে নিয়ে চলে যান। এবং বিব্রত হওয়ার হাত থেকে কোনওমতে রক্ষা পান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
Joe Biden was 83% sure this woman was his wife.
Jill Biden was 100% sure Joe Biden was 100% sure this woman was his wife.pic.twitter.com/Bn5c0tcKNi
— Kevin Dalton (@TheKevinDalton) July 18, 2024
গত কয়েক মাস ধরেই বিশ্বজুড়ে চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্বাস্থ্য। ৮১ বছর বয়সি নেতা কি আগামী চার বছর ধরে আমেরিকাকে (USA) পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য শারীরিকভাবে সক্ষম? তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।এর আগে একের পর এক অনুষ্ঠানে মুখ ফসকেছে বাইডেনের। তবুও তিনি নির্বাচনে লড়াই করার বিষয়ে অনড়। তবে কখনও তাঁর কথা জড়িয়ে যাচ্ছে। আবার কখনও নিজের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে ‘ট্রাম্প’ বলে সম্বোধন করছেন।
ন্যাটো সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ‘পুতিন’ বলে ডেকে বসেন তিনি। এই আবহে ডেমোক্র্যাট সমর্থকরা বাইডেনকে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়াতে সাঁড়াশি চাপ সৃষ্টি করলেন। বাইডেন ঘেঁষা পলিটিকাল অ্যাকশন কমিটি ‘ফিউচার ফরোয়ার্ড’কে ডেমোক্র্যাট সমর্থকদের একটা বড় অংশ জানিয়েছে, বাইডেন যদি নির্বাচনী লড়াই থেকে না সরেন, তাহলে ৯০ মিলিয়ন ডলার অনুদান আটকে দেবেন তাঁরা।
যদিও নিজেকে সম্পূর্ণ ফিট বলে দাবি করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাঁর দাবি, তিনি বৃদ্ধ হলেও তাঁর মানসিক শক্তি অটুট রয়েছে। সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাইদেন বলেন, “আমি বৃদ্ধ। কিন্তু আমি ট্রাম্পের থেকে মাত্র তিন বছরের বড়। এটা এক নম্বর। আর দুনম্বর কথা হল, আমার মানসিক শক্তি খুবই ভালো। আমি সাড়ে তিন বছরে যা করেছি তা কোনও প্রেসিডেন্ট করেননি।” তবে নিজেকে ফিট দাবি করলেও ‘ভুল’ আর বাইডেন কার্যত সমার্থক শব্দ হয়ে উঠেছে।