মঙ্গলবার তৃতীয় মোদী সরকারের প্রথম বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। প্রতিবারের মতো এবারও বাজেট পেশের আগে আলোচনায় উঠে আসে নির্মলার শাড়ি। ফি বছর নতুন ধরনের শাড়ি পরে বাজেটে বক্তৃতা দেন নির্মলা। বলা ভালো, বিগত কয়েক বছর ধরে বাজেটে আমজনতার জন্য কী কী সুযোগ সুবিধা এল তা দেখার পাশাপাশি অর্থমন্ত্রীর শাড়িও চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে।
প্রতিবারের মতো এবারও নির্মলার শাড়িতে চমক। এবারও তিনি বেছে নিয়েছেন হস্তশিল্পের দারুণ কাজের শাড়ি। রঙেও বৈচিত্র্য – সাদার পাড়ে উজ্জ্বল রানি রং, শাড়িতে হালকা চেক। সঙ্গে উজ্জ্বল রানি রঙের ব্লাউজ নির্মলার পরনে। দু হাতে সাধারণ দুটি চুড়ি, গলায় হার ও কানে ছোট দুল আর কপালে টিপ – এই হল অর্থমন্ত্রীর বাজেট-পোশাক। তিনি বরাবরই সাজেগোজে বেশ সাধারণ। এদিন অন্ধ্রপ্রদেশের বিখ্যাত মঙ্গলগিরি শাড়ির পরেই এবার সেই রাজ্যের জন্য বিশেষ আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করেন নির্মলা। এদিন অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষিকাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পোলাভারম সেচ প্রকল্পের ফান্ডিংয়ের ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী। দীর্ঘ দিন ধরে ঝুলে থাকা প্রকল্পটি শেষ করার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
এবছরই অন্তর্বর্তী বাজেটে নির্মলা বেছে নিয়েছিলেন নীল রঙের একটি হ্যান্ডলুম শাড়ি। হাতে বোনা ওই তসর শাড়িতে ছিল কাঁথা স্টিচের কাজ। শাড়িটির মধ্যে আঁকা পাতা বাংলায় সূক্ষ্ম সুচের কাজ তুলে ধরে। ২০২৩ সালের বাজেট পেশের সময় নির্মলা সীতারামনের পরনে ছিল লাল রঙের শাড়ি। টেম্পল বর্ডার ওই শাড়িটি ছিল কর্ণাটকের ধারওয়াদ এলাকার ইক্কত শাড়ি। এছাড়া ২০২২ সালের বাজেট পেশের সময় নির্মলা সীতারামন বেছেছিলেন বোমকাই শাড়ি। ২০২১ সালে বাজেট পেশের সময় নির্মলা সীতারামন বেছে নিয়েছিলেন পোচামপল্লি শাড়ি।
২০২০ সালে নির্মলা সীতারামনের পরনে ছিল সোনালি হলুদ রঙের সিল্কের শাড়ি। সঙ্গে নীল রঙের পাড়। ২০১৯ সালের প্রথমবার বাজেট পেশ করেছিলেন নির্মলা সীতারামন। সেই বছর তিনি পরেছিলেন উজ্জ্বল গোলাপি রঙের সোনালি পাড়ের মঙ্গলগিরি শাড়ি। প্রথম বাজেটেই ব্রিফকেসের বদলে ‘বহি-খাতা’ এনেছিলেন তিনি। বাজেটের নথি সিল্কের কাপড় দিয়ে মোড়ানো ছিল। যার উপর ছিল জাতীয় প্রতীক।