এটা কি দেশের বাজেট, না বিহার-অন্ধ্রপ্রদেশের ? ঠাহর করতে পারছেন না অনেকেই। জেডিইউ এবং টিডিপির কাঁধে ভোর করে দাঁড়িয়ে রয়েছে মোদী সরকার। তারা চাইলেই উল্টে দিতে পারে সরকার। মঙ্গলবারের বাজেটে বিহার-অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য কল্পতরুর ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন নির্মলা সীতারামন।
এবারের লোকসভার ভোটের ফল এবার বিজেপির পক্ষে আশাপ্রদ হয়নি। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দূরের কথা সরকার গড়ার অবস্থাতেই ছিল না তারা। বিজেপির বিপদে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন একদা শত্রু চন্দ্রবাবু নাইডু ও ভোলবদলু নীতীশ কুমার , স্বাভাবিক ভাবেই সেই সাহায্যর বিনিময়ে নিজেদের একাধিক দাবি বিজেপির সামনে পেশ করেছিলেন তারা। দুই দলের নেতাই চেয়েছিলেন বিশেষ বিশেষ মন্ত্রক। দুই নেতাই নিজেদের রাজ্যের জন্য চেয়েছিলেন বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা। কিন্তু সেসব মেলেনি। অবশেষে এ বার বাজেটে সেই পাশে থাকার পুরস্কার দিলেন তিনি। বিহার এবং অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য একাধিক ‘উপহার’ বরাদ্দ করা হল বাজেটে।
Its not Indian Union budget, BIHAR – ANDHRA budget!#Budget2024
— India_against_hate (@vpn_care) July 23, 2024
তবে বাজেট পাশের আগে সোশ্যাল মিডিয়ার অবস্থা অন্যরকম ছিল। মধ্যবিত্তের ঘাড়ে আর কতটা চাপ ফেলবেন কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রী তা নিয়ে চলছিল মিমের খেলা। পরে সেটা ঘুরে যায় নয়া আয়কর স্ল্যাব দেখে। ৩ লাখের বেশি আয় হলেই ৫ শতাংশ কর দিতে হবে – এটা জানার পরেই অনেকেই সরকারের এই সিদ্ধান্তকে জঘন্য সিদ্ধান্ত বলে দাবি করেন । আয়কর স্ল্যাব ঘোষণার সময় নির্মলা সীতারামন বলেন, এবার স্যালারি পান যাঁরা তাঁরা ১৭ হাজার ৫০০ টাকা করে বাঁচাতে পারবেন। সেটাকে কটাক্ষ করে অনেকেই বলেন, ‘১৭০০০ টাকা পাবে কর দিতে হবে। ৩ বিএইচকে ফ্ল্যাট বুক করে নাও বন্ধুরা।’
Madhyapradesh people watching Bihar getting 26,000 crore. #Budget2024 pic.twitter.com/ahx4lWucW4
— Prayag (@theprayagtiwari) July 23, 2024
কিন্তু পরিস্থিতি বদলে যায় বিহার এবং অন্ধ্রপ্রদেশকে আর্থিক প্যাকেজ ও প্রকল্প ঘোষণা করতেই। এক মিমে বলা হয় – ‘বিহার বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ পাবে বলে আগে থেকেই সব সেতু গুলো কে ভেঙে দেওয়া হয়েছে।’ উল্লেখ্য, গত ১ মাসে নীতীশের রাজ্যে ১৫টি সেতু ভেঙে পড়েছে। অনিকেত নামে একজন এক্স ব্যবহারকারী লিখেছেন – এটা বিকশিত ভারতের বাজেট নয়, বিকশিত বিহার ও অন্ধ্রপ্রদেশের বাজেট।