এবারের লোকসভার ভোটের ফল এবার বিজেপির পক্ষে আশাপ্রদ হয়নি। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দূরের কথা সরকার গড়ার অবস্থাতেই ছিল না তারা। বিজেপির বিপদে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন একদা শত্রু চন্দ্রবাবু নাইডু ও ভোলবদলু নীতীশ কুমার , স্বাভাবিক ভাবেই সেই সাহায্যর বিনিময়ে নিজেদের একাধিক দাবি বিজেপির সামনে পেশ করেছিলেন তারা। দুই দলের নেতাই চেয়েছিলেন বিশেষ বিশেষ মন্ত্রক। দুই নেতাই নিজেদের রাজ্যের জন্য চেয়েছিলেন বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা। কিন্তু সেসব মেলেনি। অবশেষে এ বার বাজেটে সেই পাশে থাকার পুরস্কার দিলেন তিনি। বিহার এবং অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য একাধিক ‘উপহার’ বরাদ্দ করা হল বাজেটে।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় বাজেটে অর্থমন্ত্রী জানালেন, অন্ধ্রপ্রদেশ পুনর্গঠন আইনের সূত্র মেনে অন্ধ্রের নতুন রাজধানী অমরাবতীর পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য বাড়তি ১৫ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, আগামী বছরগুলিতে এই ধরনের আরও একাধিক আর্থিক প্যাকেজ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্মলা। মূলত অমরাবতীর পুনর্গঠনে খরচ হবে এই টাকা। অন্ধ্রের রয়্যালসীমা অঞ্চল, কার্নল, অনন্তপুর, ওয়াইএসআর এবং চিত্তোর, চার জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি এবং পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দেবে মোদি সরকার। অন্ধ্রের গ্রামোন্নয়নে ২.৬৬ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
বিহারের ক্ষেত্রে নির্মলা আরও উদারহস্ত। বিহারের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা মসৃণ করতে মোট ২৬ হাজার কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি গয়ার বিষ্ণুপদ মন্দির করিডোর তৈরি হবে কাশী বিশ্বনাথ করিডোরের ধাঁচে। বুদ্ধগয়ার উন্নয়নে বাড়তি বরাদ্দ করা হবে। নালন্দাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে তুলে ধরার জন্য প্যাকেজ দেবে মোদি সরকার। এছাড়াও রাজগীর, নালন্দার পর্যটনেও ব্যাপক দরাজ হস্তে অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব রেখেছেন সীতারামন। একইসঙ্গে হিমাচল প্রদেশ, ওড়িশার পর্যটনের উন্নয়নেও একগুচ্ছ প্রস্তাব রেখেছেন ২০২৪-২৫ সালের বাজেটে।