Mamata Banerjee visits Delhi to attend Niti Aayog meeting

Mamata বঞ্চনা ও রাজ্য ভাঙার চক্রান্তের বিরুদ্ধে বলব, অভিষেককে সঙ্গে নিয়ে দিল্লিমুখী মমতা

বৃহস্পতিবার দিল্লি যাওয়ার কথা থাকলেও যাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শুক্রবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে রাজধানীর উদ্দেশে রওনা হলেন তিনি। নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন বলেও জানিয়ে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি দিল্লি যাচ্ছেন, নীতি আয়োগের বৈঠকেও যোগ দেবেন। কিন্তু সেটা বাংলার বঞ্চনা এবং রাজ্যভাগের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ করার লক্ষ্যে। দিল্লি যাওয়ার আগে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকারের আচরণ এবং বাজেটে বাংলাকে আর্থিক বঞ্চনা নিয়ে সরব হয়েছেন মমতা। এ দিন কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বলেন, ‘এদের যা আচরণ, বাংলাকে ভাগ করার যে চক্রান্ত, তা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। যেহেতু আগে থেকে কথা বলেছিল তাই নীতি আয়োগের বৈঠকে নিয়মরক্ষা করতে যাব।’

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে শনিবার নীতি আয়োগের বৈঠক রয়েছে দিল্লিতে। বিরোধী শিবির ‘ইন্ডিয়া’র বেশ কয়েক জন মুখ্যমন্ত্রী ওই বৈঠক বয়কট করেছেন। শোনা গিয়েছে, নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন না পঞ্জাব, তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানা, কর্নাটক, কেরল, হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রীরা। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করতে পারেন বলে শোনা গিয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার মমতা জানালেন, হেমন্তও বৈঠকে থাকতে পারেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি যত দূর জানি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও থাকবেন। দু’জন মিলে প্রতিবাদ করব।’’

দিল্লি যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ওরা বাংলাকে বিভিন্ন দিক থেকে চাপে অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করছে। বাজেটে বঞ্চনা করেছে। রাজ্যের টাকা আটকে রাখছে। এমনকী বাংলাকে ভাঙার চক্রান্ত করা হচ্ছে। বাংলা ভাগের কথা বলছেন খোদ কেন্দ্রের মন্ত্রী। বিজেপির (BJP) নেতারাও রাজ্য ভাগের চক্রান্ত করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা করছি। এই চক্রান্ত মেনে নেওয়া হবে না। বাংলা ভাগ মানেই ভারত ভাগ। এই চক্রান্ত মানা হবে না। এই পরিস্থিতিতে প্রতিবাদ জানানোর মঞ্চ নীতি আয়োগ। আমি যাব, কিছুক্ষণ থাকব। বলতে দিলে বলব। না হলে বেরিয়ে চলে আসব।”

মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি যাওয়ার আগে বললেন, “সাত দিন আগেই আমাদের ভাষণের লিখিত প্রতিলিপি পাঠিয়ে দিতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাভাগের চক্রান্ত হচ্ছে। বাজেটেও যেভাবে বাংলা-সহ অন্যান্য বিরোধী শাসিত রাজ্যকে বঞ্চনা করা হয়েছে, এই বিদ্বেষ মেনে নিতে পারছি না। এই রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব মানা সম্ভব নয়। নীতি আয়োগ থেকেই এর প্রতিবাদ করব।”