বাড়ির দালান থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৯ বছরের নাবালিকার দেহ। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে ধর্ষণ এবং খুনের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। গোটা গ্রামে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। পরিবারের বয়ানে বেড়েই চলেছিল পুলিশের সন্দেহের তালিকা। কিন্তু জোরকদমে তদন্ত শুরু করতেই যে তথ্য সামনে এল, তা ভয়ঙ্কর। জানা গেল, আর কেউ নয়, নাবালিকার দাদাই খুন করেছে তাঁকে। খুনের আগে বোনকে ধর্ষণ করেছিল অভিযুক্ত। প্রমাণ লোপাট করতে সাহায্য করেছিল মা ও দুই বড় দিদি। জেরায় চাঞ্চল্যকর এই তথ্য সামনে আসতেই ১৩ বছরের কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছিল গত ২৪ এপ্রিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন নির্যাতিতা বালিকা তার দাদার সঙ্গে ঘুমোচ্ছিল। তখনই ১৩ বছরের ওই কিশোর বোনকে ধর্ষণ করে। জেরায় জানা গিয়েছে, নীলছবি দেখে অনুকরণ করতে গিয়েছিল অভিযুক্ত। এর পর নির্যাতিতা ঘটনার কথা বাড়িতে বলে দেওয়ার হুমকি দিতেই ভয়ে বোনকে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টা করে কিশোর।
নাবালিকা মৃত, এই ভেবেই কিশোর উঠে গিয়ে তাঁর মাকে ডাকে। ঘুম ভেঙে যায় তাঁর দুই দিদিরও (১৭ ও ১৮ বছর বয়স)। ভাইকে বাঁচাতে তাঁরা বাইরের খাটিয়ার চাদর বদলে দেয়। এদিকে, সেই সময়ও বেঁচেছিল নাবালিকা। কিশোর দেখতে পেয়েই ফের গলা চেপে ধরে, শ্বাসরোধ করে খুন করে নাবালিকাকে। এরপর ভোর হতেই পুলিশে খবর দেয়। পুলিশকে জানায়, কোনও বিষাক্ত পোকা হয়তো কামড়েছিল নাবালিকাকে, যার জেরে মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তে ধর্ষণের প্রমাণ মিলতেই পরিবারের সদস্যরা বারবার বয়ান করতে শুরু করে। এরপরই সন্দেহ আরও গূঢ় হয়। জেরায় কিশোর স্বীকার করে নেয় অপরাধের কথা।
পুলিশ সুপার বিবেক সিংহ বলেছেন, ‘‘গত ২৪ এপ্রিল জাওয়া থানা এলাকায় একটি ন’বছর বয়সি মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। মেয়েটির নিজের বাড়ির উঠোন থেকেই তার দেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে ধর্ষণ এবং খুনের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। এর পরেই মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অভিযুক্ত, তার মা ও দুই বোনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শীঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।’’