রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে শনিবার নীতি আয়োগের বৈঠকে বাংলার বঞ্চনার প্রসঙ্গে কথা শুরু করতেই তাঁকে থামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়ের। নীতি আয়োগের বৈঠক থেকে ওয়াক আউট করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী । বৈঠক শেষ হওয়ার আগেই বেরিয়ে এসে তিনি বলেন, ‘আমাকে পাঁচ মিনিটও বলতে দেওয়া হয়নি। মাইক বন্ধ করে অপমান করা হয়েছে আমায়। এটা খুব অপমানজনক। আর কোনও দিন বৈঠকে যাব না।’
তবে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ ওড়ালেন নীতি আয়োগের CEO সুব্রহ্মণ্যম। তিনি বলেন, ‘সাধারণত আমরা রাজ্যের নাম অনুসারে বর্ণানুক্রমিকভাবেই বক্তব্য পেশের সুযোগ দিই। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর আগে ওঁকে বক্তব্য পেশের সুযোগ করে দেন। সেই সময় উনি বক্তব্য রেখেছেন। প্রত্যেক মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য পেশের জন্য সাত মিনিট বরাদ্দ ছিল। বক্তব্য শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘড়িতে দেখা যাচ্ছিল বরাদ্দ সময়ের আর কতক্ষণ বাকি।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী আরও কিছুক্ষণ বক্তব্য পেশ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অতিরিক্ত সময় বক্তব্য রাখতে পারেননি।’ বলেন, ‘তিনি বক্তব্য পেশ করেছেন। আমরা তাঁর পয়েন্টগুলিও খুঁটিয়ে শুনেছি ও লিখেছি। কলকাতার বিমান ধরার ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি বেরিয়ে যাওয়ার পরও মুখ্যসচিব বৈঠকে ছিলেন।’
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর তোলা অভিযোগকে খারিজ করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, ‘ওঁর অভিযোগ সঠিক নয়।’ নির্মলা বলেন, ‘প্রত্যেক মুখ্যমন্ত্রীকেই বক্তব্য রাখার জন্য প্রাপ্য সময় দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মাইক বন্ধ করে দেওয়ার যে অভিযোগ করেছেন তা দুর্ভাগ্যজনক এবং সঠিক নয়।’ নীতি আয়োগের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাইক বন্ধ করা হয়নি বলেই দাবি করেছেন মোদি সরকারের অন্যতম সিনিয়র এই মন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা অভিযোগ করেছেন, “এনডিএ (NDA) শরিকদের বেশিক্ষণ বলতে সময় দেওয়া হয়েছে। চন্দ্রবাবু নায়ড়ুকে ২০ মিনিট কথা বলতে সময় দেওয়া হয়। বাজেটে কিছু নেই, জিরো। বৈষম্য করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে এটা কি সম্ভব? সকলের দিকে নজর দিতে হবে। এভাবে সরকার চলে না। একশো দিনের কাজের টাকা বকেয়া রয়েছে। এসব বলতেই মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমাকে ৫ মিনিটও বলতে দেওয়া হয়নি।”