জাতিভিত্তিক জনগণনা নিয়ে রাহুল গান্ধীর উদ্দেশ্যে করা অনুরাগের ঠাকুরের মন্তব্যে উত্তাল লোকসভা। মঙ্গলবার BJP সাংসদ বলেন, ‘যার জাতের ঠিক নেই, সে আবার জাতিভিত্তিক জনগণনা নিয়ে কথা বলছে।’
কেন্দ্রীয় সরকার কেন জাতি গণনা করাচ্ছে না, বাজেট বিতর্কে বারে বারে সেই প্রশ্ন তুলেছেন রাহুল গান্ধী। সোমবার রাহুলের ভাষণে অনেকটা সময় ধরে ছিল জাত গণনার ইস্যু। মঙ্গলবার সেই প্রসঙ্গেই রাহুলকে পাল্টা খোঁচা দেন বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।
কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলেন, “কংগ্রেসের শাহজাদা আমাদের জ্ঞান দেবেন? বিরোধী দলনেতার পদ কী, আগে বুঝতে হবে ওঁকে। ওঁদের মিথ্যে ছড়ানো বন্ধ করতে হবে। বার বার ওবিসি-দের কথা বলা হয়, বার বার করে জাতিগণনার কথা বলা হয়। যাঁদের নিজেদের জাতের ঠিক নেই, তাঁরাই জাতি-গণনার দাবি করছেন।” অনুরাগের এই মন্তব্যে তেতে ওঠে লোকসভার অধিবেশন। অনুরাগকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করেন বিরোধীরা। যদিও অনুরাগের আশপাশে যে বিজেপি সাংসদরা ছিলেন, তাঁদের হাসতে দেখা যায়।
Whenever the issue of caste census is raised by Rahulji, he is abused by Sanghi and BJP leaders.
Another such Baail Buddhi from BJP is upper caste leader Brahmin Anurag Thakur who is commenting on Rahulji’s jaat.
This upper caste BJP supremacy needs to be destroyed. Rahulji… pic.twitter.com/4twM7XlPeJ
— Priyamwada (@PriaINC) July 30, 2024
তীব্র প্রতিবাদের মাঝে যদিও অনুরাগ ঠাকুরের সাফাই, ‘আমি কারও নাম করে এ মন্তব্য করিনি।’ লোকসভায় হট্টগোল থামানোর চেষ্টা করেন স্পিকারের চেয়ার থাকা জগদম্বিকা পাল। তবে অনুরাগ ঠাকুরের বাকি বক্তব্যের মাঝে টানা সুর চড়াতে থাকেন বিরোধী সাংসদরা। সেই আবহে অনুরাগকে জবাব দিতে ওঠেন রাহুল। স্পিকারের উদ্দেশে বলেন, “স্যর, এই দেশে দলিত, আদিবাসী, অনগ্রসর শ্রেণির কথা বলতে গেলে, তাঁদের হয়ে লড়াই করতে গেলে গালি খেতেই হয়। হাসিমুখি আমি সব গালি সহ্য করে নেব। কারণ মহাভারতে অর্জুনের লক্ষ্য ছিল মাছের চোখ। মাঠের চোখে দৃষ্টি নিবদ্ধ আমারও। জাতি জনগণনা করে দেখাব। আপনারা যত খুশি গালি দিন আমাকে, হাসিমুখে সহ্য করে নেব।”
এ দিন লোকসভায় সমাজবাদী পার্টি সাংসদ অখিলেশ যাদবের সঙ্গেও একচোট তর্কাতর্কি হয় অনুরাগ ঠাকুরের। অখিলেশ প্রশ্ন করেন, ‘কী ভাবে একজনের জাত তুলে কথা বলতে পারেন আপনি? লোকসভায় এ ধরণের আচরণ অনুচিত।’ পাশাপাশি, সংসদে বাজেট নিয়ে বিতর্কের মাঝে অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে সরব হন অখিলেশ যাদব। অখিলেশ বলেন, ‘সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে আগ্রহী কোনও যুবকই অগ্নিপথ প্রকল্পের পক্ষপাতী নন। অথচ যখন এই প্রকল্প চালু করেছে মোদী সরকার, বড় বড় শিল্পপতিদের দিয়ে বলানো হয়েছে, এর চেয়ে ভালো চাকরি আর নেই। সরকার নিজেও জানে, এই প্রকল্প ভালো নয়। তাই BJP শাসিত রাজ্যগুলিকে অগ্নিবীরদের জন্য চাকরি ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ সংরক্ষণ বরাদ্দ করতে নির্দেশ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।’ পাল্টা অনুরাগের দাবি, ‘অগ্নিবীর প্রকল্পে ১০০ শতাংশ কর্মসংস্থানের গ্যারান্টি রয়েছে।’