ইজরায়েল এবং ইরানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার আবহে বিমানযাত্রীদের নিয়াপত্তা নিয়ে শঙ্কিত এয়ার ইন্ডিয়া। রতন টাটার বিমান সংস্থা এই পরিস্থিতিতে আগামী ৮ অগস্ট পর্যন্ত দিল্লি থেকে ইজ়রায়েলের রাজধানী তেল আভিভের সমস্ত উড়ান স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করছে।
শুক্রবার টাটা গোষ্ঠীর মালিকানাধীন উড়ান সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, মধ্য প্রাচ্যের একাংশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার জেরে এখন থেকেই তেল অভিভগামী বিমান এবং তেল আভিভ থেকে যে সব বিমান ভারতে আসার কথা রয়েছে সেগুলি বাতিল করা হচ্ছে। আগামী ৮ আগস্ট পর্যন্ত বিমান বাতিল থাকছে। যে সকল যাত্রীদের ইতিমধ্যে টিকিট কাটা হয়ে গিয়েছে তাঁদের সূচি পরিবর্তন কিংবা টিকিট বাতিলের সুযোগ দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে কোনও ‘ক্যানসেলেশন’ চার্জ নেওয়া হবে না।
শুধু এয়ার ইন্ডিয়া নয়, মধ্যপ্রাচ্যে যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে তার জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে ইরান ও লেবাননের আকাশসীমা এড়িয়ে যাচ্ছে একাধিক উড়ান সংস্থা। ইজরায়েল এবং লেবাননগামী একাধিক বিমান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
স্বাধীনতাপন্থী প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়ার খুনের বদলা নিতে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ‘সরাসরি সামরিক প্রত্যাঘাতে’র নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আমি খোমেইনি। তাঁর ওই ‘বার্তা’ পেয়ে বুধবার রাতেই জরুরি বৈঠক করেছে ইরানের জাতীয় সামরিক পরিষদ। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিম এশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও সঙ্কটজনক হয়ে উঠতে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মঙ্গলবার সে দেশের রাজধানী তেহরানে হাজির ছিলেন হানিয়া। সে রাতেই একটি গোপন সরকারি অতিথিশালায় তাঁকে ইজরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ খুন করে বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশের। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের এপ্রিলে সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে ইরানের দূতাবাসে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এতে ইরান প্রশাসনের দুই পদস্থ আধিকারিক-সহ মোট ১২ জনের মৃত্যু হয়। কেউ এই বিমান হামলার দায় স্বীকার না করলেও মনে করা হয় যে, এর নেপথ্যে ছিল ইজরায়েল। সে সময় দু’দেশের যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় নয়াদিল্লি-তেল আভিভ উড়ান সাময়িক ভাবে বন্ধ করেছিল এয়ার ইন্ডিয়া।