ঘূর্ণাবর্ত এবং মৌসুমি অক্ষরেখার প্রভাবে গত কয়েকদিন ধরেই কলকাতা-সহ দুই বঙ্গে বৃষ্টি হচ্ছিল। শুক্রবার রাত থেকে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে থাকে। শনিবার সকালেও কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। যার জেরে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
উল্টোডাঙা, সল্টলেক, বাগুইআটি, পাতিপুকুর-সহ কলকাতার একাধিক জায়গায় রাস্তা জলের তলায় চলে গিয়েছে। কোথাও কোথাও জল এক হাঁটু সমানও। জলমগ্ন এয়ারপোর্ট ও নিউটাউনের বিভিন্ন এলাকাও। বৃষ্টি না থামলে পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে পাম্পের সাহায্যে ইতিমধ্যে সল্টলেক-সহ কয়েকটি এলাকায় জল নামানোর কাজ শুরু করেছে প্রশাসন।
শেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে দমদমে। শনিবার সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত দমদমে বৃষ্টি হয়েছে ১০০ মিলিমিটার। তার পরই রয়েছে সল্টলেক। সেখানে বৃষ্টি হয়েছে ৮১.১ মিলিমিটার। কলকাতার আলিপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ৩১.৯ মিলিমিটার। ডায়মন্ড হারবারে শনিবার সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৮০.৪ মিলিমিটার। আসানসোল ও পুরুলিয়াতেও যথাক্রমে ৭৫.৬ মিলিমিটার ও ৬২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে মালদহে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ৫৯.১ মিলিমিটার। বহরমপুরে বৃষ্টি হয়েছে ৫১ মিলিমিটার।
নাগাড়ে বৃষ্টিতে ভোগান্তি শুধু শহর এলাকাতেই নয়, চিন্তা বাড়িয়েছে কৃষকদেরও। একাধিক জায়গায় চাষের জমিতে জল জমে গিয়েছে। তবে স্বস্তির বিষয়, শনিবার থেকে আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হতে পারে দক্ষিণের জেলাগুলিতে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে কিছুটা কমতে পারে বৃষ্টি। তবে উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আগামী কয়েক দিন। উত্তরের পাঁচ জেলায় বৃষ্টির কমলা সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।