হু হু করে ঢুকছে জল। গোড়ালি ডোবা জলে যাচ্ছেতাই পরিস্থিতি। এ দৃশ্য দেখা গেল নতুন সংসদ ভবনে। বছর পার হতে না হতেই প্রবল বর্ষণে বেহাল দশা। ইনস্টাগ্রামে ভিডিও শেয়ার করে পুরনো সংসদ ভবন ফেরানোর দাবি রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের।
১ অগস্ট সংসদের নতুন ভবনের ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ার ভিডিও সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল। রাজ্যসভার তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন সেদিন মোদী সরকারকে আক্রমণ করে ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেছিলেন, “নতুন মোদী সরকারের সবেতেই লিক। পেপার লিক, ওয়াটার লিক, সিস্টেম লিক। এমনকী জনতার রায়ও লিক।”
এবার রাজ্যসভাতেও সেই একই হাল! জল থইথই সংসদ ভবন! ইনস্টাগ্রামে ভিডিও শেয়ার করে পুরনো সংসদ ভবন ফেরানোর দাবি জানালেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। ইতিমধ্যে পোস্টটি ভাইরাল। হিন্দিতে কাউকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘ইয়ে হ্যায় হমারে রাজ্যসভা!’’ অর্থাৎ, এই হল আমাদের রাজ্যসভা। যা থেকে অনেকেই অনুমান করছেন, ওই জলস্রোত বইছে সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভা চত্বরে। যেখানে ফের ‘লিক’ প্রসঙ্গে মোদী সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন একাধিক নেট নাগরিক।
নতুন এই সংসদ ভবন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের প্রকল্প। হাজার বিরোধিতা সত্ত্বেও হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে দিল্লিতে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প তৈরি করেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। নতুন সংসদ ভবন সেই সেন্ট্রাল ভিস্তারই অংশ। সংসদের প্রতিটি কোণে ভারতীয় শিল্পকলার নিদর্শন তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একের পর এক ভিডিও সত্যি হলে নতুন সংসদ নির্মাণের গোড়াতেই রয়েছে গলদ। সামান্য বর্ষণ প্রতিরোধ ক্ষমতাও নেই।
লোকসভা সচিবালয়ের তরফে অবশ্য শুক্রবার এই ঘটনার পিছনে এক অদ্ভুত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, নতুন সংসদ ভবনে কাচের গম্বুজ বা ডোম থেকেই এই বিপত্তি। গম্বুজের কাচ জোড়া লাগানোর জন্য আঠালো পদার্থ ব্যবহার করা হয়েছিল। ব্যবহৃত আঠার ফাঁক থেকে জল চুঁইয়ে নাকি এমন বেহাল দশা। তবে এক্ষেত্রেও উঠছে প্রশ্ন। আঠার ফাঁক বা আর কতই বড়ই হতে পারে! যদি তাই হয় তবে এত সূক্ষ ফাঁক দিয়ে কী ভাবে এমন বিপুল জলরাশি সংসদ ভবনের মেঝে ভাসিয়ে দিতে পারে? লোকসভার সচিবালয়ের যুক্তি মানতে নারাজ বিরোধীরা। বিরোধীদের দাবি শুধু লোক দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু আদতে, কিছুই হয়নি। ফলে, এই বেহাল অবস্থা হয়েছে নতুন সংসদ ভবন।