Bangladesh: Indian Government forms panel to ensure safety of minorities in Bangladesh But Take Strict Measures On Controlling Refugees

Bangladesh: সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন, কিন্তু শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে ‘নারাজ’ দিল্লি

অশান্ত বাংলাদেশের পরিস্থিতির উপর ভারত নজর রাখছে। সে দেশে ভারতীয় এবং সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য এ বার নরেন্দ্র মোদী সরকার একটি কমিটি গঠন করল। সেই কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এডিজি। ভারতীয় সেনার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন কর্তাদের এই কমিটিতে রাখা হয়েছে।

শুক্রবার কেন্দ্র একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে ভারত সরকার। বাংলাদেশে থাকা ভারতীয় নাগরিক এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই কমিটি কাজ করবে। বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে তারা।’

‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’কে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিন ধরেই অশান্ত বাংলাদেশ। সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া ছাত্র আন্দোলন এক সময়ে সরকার বিরোধী আন্দোলনে পরিণত হয়। আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল একটাই, শেখ হাসিনার অপসারণ। পড়ুয়াদের এই আন্দোলনে সাধারণ মানুষকেও দলে দলে যোগ দিতে দেখা যায়। লাগাতার আন্দোলনের জেরে বাধ্য হয়েই প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন হাসিনা। তিনি দেশ ছাড়তেই নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয় ওপার বাংলায়। অভিযোগ, বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডবে ভীত হয়ে পড়েন সে দেশের সংখ্যালঘুরা। প্রাণ বাঁচাতে পালানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা।

কিন্তু প্রশ্ন হল, তারা যদি এপারে আসতে চায় তাহলে দিল্লি কী করবে? শোনা যাচ্ছে, কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার এবার আর একাত্তরের পুনরাবৃত্তি চায় না। সীমান্তে শরণার্থীদের চাপ যতই আসুক, নিজেদের দরজা হাট করে খুলে দিতে নারাজ দিল্লি। এ রাজ্যে হিন্দু ভোট মেরুকরণের উদ্দেশে বাংলাদেশে ডামাডোল তৈরি হতেই বিজেপি নেতারা আসরে নেমেছিলেন। শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষরা, ওপার বাংলার হিন্দুদের আশ্রয় দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা স্পষ্ট বলেছেন, “ওপার বাংলা থেকে প্রায় ১ কোটি শরণার্থী আসবেন, তাঁদের জন্য বাংলার সরকারের প্রস্তুত হওয়া উচিত। আমাদেরও প্রস্তুত হওয়া উচিত।” বস্তুত দিল্লি গিয়ে দলের নেতৃত্বের কাছেও হিন্দু শরণার্থীদের কথা ভাবার আর্জি জানিয়ে এসেছে বঙ্গ নেতৃত্ব। কিন্তু দিল্লি এখনই এ নিয়ে বড় কোনও পদক্ষেপে নারাজ।

আসলে নয়াদিল্লি মনে করছে, বাংলাদেশের সীমান্ত অবাধ করে দিলে ভারতের সংহতি, জনবিন্যাসে বড়সড় প্রভাব পড়তে পারে। সীমান্ত খুলে দিলে হিন্দুদের পাশাপাশি রাজনৈতিক কারণে উৎপীড়নের শিকার হওয়া আওয়ামী লীগের মুসলিম নেতা-কর্মীদেরও ভারতে চলে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সেটা হলে বদলে যাবে সীমান্ত এলাকার জনবিন্যাস। যা চায় না ভারত। আবার সীমান্ত শরণার্থীদের ভিড়ে ইসলামিক জঙ্গিদের অনুপ্রবেশও একটা বড় আশঙ্কা। সব মিলিয়ে নয়াদিল্লি আপাতত সতর্ক। সাউথ ব্লক চেষ্টা করছে যাতে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সেদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা যায়।