প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর পর রাহুল গান্ধী। আর জি কর কাণ্ডে ফের মুখ খুলল কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে প্রিয়াঙ্কার থেকে রাহুলের বয়ান অনেকটাই আলাদা। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী মূলত সরব হয়েছিলেন অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে। আর রাহুল গান্ধী অন্য বিরোধীদের মতোই অভিযোগ করলেন অপরাধীদের আড়াল করার। বুধবার ইন্ডিয়া জোটের শরিক দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল যেভাবে এই ঘটনায় পদক্ষেপ হয়েছে তার তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি রাজ্যের শিক্ষা ও হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এদিন।
कोलकाता में जूनियर डॉक्टर के साथ हुई रेप और मर्डर की वीभत्स घटना से पूरा देश स्तब्ध है। उसके साथ हुए क्रूर और अमानवीय कृत्य की परत दर परत जिस तरह खुल कर सामने आ रही है, उससे डॉक्टर्स कम्युनिटी और महिलाओं के बीच असुरक्षा का माहौल है।
पीड़िता को न्याय दिलाने की जगह आरोपियों को…
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) August 14, 2024
এক্স পোস্টে রাহুল লিখেছেন, ‘‘কলকাতায় এক জুনিয়র ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের জঘন্য ঘটনায় হতবাক গোটা দেশ। যে ভাবে তাঁর উপর নৃশংস, অমানবিক অত্যাচার হয়েছে, তাতে চিকিৎসক সমাজ এবং নারীদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশ স্পষ্ট।’’ এর পরেই রাজ্যকে নিশানা করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘ন্যায়বিচার নিশ্চিত না করে অভিযুক্তকে বাঁচানোর চেষ্টা হাসপাতাল ও স্থানীয় প্রশাসন সম্পর্কে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। এই ঘটনা আমাদের ভাবতে বাধ্য করেছে যে, মেডিক্যাল কলেজের মতো জায়গায় যদি চিকিৎসকেরা নিরাপদ না থাকেন, তা হলে অভিভাবকেরা কোন ভরসায় তাঁদের মেয়েকে পড়তে পাঠাবেন?’’
সেই সঙ্গে ২০১২ সালে দিল্লির গণধর্ষণ এবং হত্যা মামলার প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রেস সাংসদের প্রশ্ন, নির্ভয়া মামলার পর তৈরি হওয়া কঠোর আইনও কেন এই ধরনের অপরাধ বন্ধ করতে ব্যর্থ?’’ বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের হাথরস, উন্নাও এবং কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া ধর্ষণকাণ্ডের সঙ্গেও আরজি করের তুলনা টেনেছেন রাহুল। এক্স পোস্টে তাঁর মন্তব্য, ‘‘হাথরস থেকে উন্নাও এবং কাঠুয়া থেকে কলকাতা পর্যন্ত মহিলাদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান অপরাধের ঘটনার বিষয়ে, প্রতিটি দল এবং সমাজের প্রতিটি অংশকে গুরুত্ব সহকারে একসঙ্গে আলোচনা করতে হবে এবং দৃঢ় পদক্ষেপ করতে হবে।’’
নির্যাতিতা চিকিৎসকের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে রাহুল লিখেছেন, ‘‘এই অসহনীয় যন্ত্রণার সময় আমি নিহতের পরিবারের পাশে রয়েছি। প্রতিটি পরিস্থিতিতে তাদের ন্যায়বিচার পাওয়া উচিত এবং অপরাধীদের এমন শাস্তি হওয়া উচিত, যা সমাজে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।’’
রাহুলের টুইটের পালটা এসেছে তৃণমূলের তরফেও। প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ কুণাল ঘোষের বক্তব্য, “উন্নাও বা হাথরাসের ঘটনার সঙ্গে আর জি করের ঘটনা মিলিয়ে ফেললে হবে না। উন্নাও বা হাথরাসে ধর্ষকদের আড়াল করার চেষ্টা হয়েছিল। এখানে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই শাস্তি দেওয়ার কথা বলছেন। ফাঁসির কথা বলছেন। আমরা আর জি করের পাশে আছি। অভিষেক এনকাউন্টারের কথা বলছে। সুতরাং এই ধরনের কথা বলা উচিত নয়।” রাজীব গান্ধীর আমলের সতীদাহের প্রসঙ্গ মনে করিয়ে কুণাল বললেন, “রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন জয়পুরের কাছে সতীদাহের মতো ঘৃণ্য ঘটনা ঘটেছিল। তখন তো রাজীব গান্ধী ইস্তফা দেননি। সুতরাং কিছু বলার আগে নিজেদের ইতিহাস ঘেটে দেখা উচিত।”