উত্তরাখণ্ডে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক নার্সকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। ঘটনাটি রাজ্যের উধম সিং নগর জেলার। পুলিশ তদন্তে নেমে এক ব্যক্তিকে উত্তর প্রদেশের বেরলি থেকে গ্রেফতার করেছে। নার্সের দেহ মেলে উত্তর প্রদেশেরই রামপুর থেকে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতা গদরপুরের ইসলামনগরের বাসিন্দা। উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালের এক বেসরকারি হাসপাতালে নার্স হিসাবে কাজ করতেন তিনি। বিলাসপুর কলোনিতে তাঁর বাড়ি। তাঁর এক ১১ বছরের মেয়েও আছে। ওই মেয়ের সঙ্গেই থাকতেন তিনি। ৩০ জুলাই প্রতিদিনের মতো হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আর বাড়ি ফেরেননি। পরের দিন, অর্থাৎ, ৩১ জুলাই তাঁর বোন একটি নিখোঁজ রিপোর্ট দায়ের করেন।
ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এর এক সপ্তাহ পর, উত্তরপ্রদেশের এক ফাঁকা জমি থেকে ওই নার্সের দেহ উদ্ধার করা হয়। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ধর্মেন্দ্র নামে উত্তরপ্রদেশের বরেলির এক শ্রমিককে, রাজস্থানের যোধপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। ওই মহিলাকে শেষ কোথায় কোথায় দেখা গিয়েছিল, তা খুঁজে বের করেন পুলিশকর্মীরা। মৃতার চুরি যাওয়া মোবাইলটি কোন জায়গায় রয়েছে, সেটিও চিহ্নিত করা হয়। সেই সূত্র ধরেই রাজস্থানের যোধপুর থেকে অভিযুক্তকে পাকড়াও করেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্য নার্সের মাথা থেঁতলে দেয় অভিযুক্ত। ধৃত জেরায় স্বীকার করেছেন অপরাধের কথা। পুলিশ বোঝার চেষ্টা করছে, ধৃতের সঙ্গে আরও কেউ ছিল কিনা। মনে করা হচ্ছে, কোনও গোপন জায়গায় আটকে রেখে ধর্ষণের পর খুন করা হয় ওই নার্সকে।