লোকসভা ভোটের চার মাসের মাথায় আবার যুযুধান এনডিএ এবং ‘ইন্ডিয়া’। এ বার দু’টি বিধানসভা ভোটে। জম্মু ও কাশ্মীর এবং হরিয়ানার ৯০টি করে আসনে। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানান, জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট হবে তিন দফায়। হরিয়ানায় এক দফায়। জম্মু ও কাশ্মীরে ১৮ সেপ্টেম্বর, ২৫ সেপ্টেম্বর এবং ১ অক্টোবর ভোটগ্রহণ হবে। হরিয়ানায় শুধু ১ অক্টোবর। দু’টি বিধানসভা ভোটেরই একসঙ্গে গণনা হবে ৪ অক্টোবর।
জম্মু ও কাশ্মীরে মোট ৯০ টি আসনে ভোটপর্ব অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ৭৪ টি সাধারণ, ৯টি এসটি এবং ৭টি এসসি। মোট ভোটার সংখ্যা ৮৭.০৯ লক্ষ যার মধ্যে ৪৪.৪৬ লক্ষ পুরুষ এবং ৪২.৬২ লক্ষ মহিলা ভোটার। জম্মু ও কাশ্মীরে তরুণ ভোটারের সংখ্যা ২০ লাখ।
২০১৪ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে শেষ বার বিধানসভা ভোট হয়েছিল অবিভক্ত জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যে। গত ১১ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ কেন্দ্র এবং কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিল, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট করাতে হবে।
৩৭০ বাতিলের পরে জম্মু ও কাশ্মীরের আসন পুনর্বিন্যাসের দায়িত্বে থাকা ‘ডিলিমিটেশন কমিশন’-এর রিপোর্টের ভিত্তিতে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিধানসভা আসনসংখ্যা ৮৩ থেকে বাড়িয়ে ৯০ করা হয়েছিল গত বছর। সাতটি আসনের মধ্যে ছ’টি বেড়েছে জম্মুতে (৩৭ থেকে ৪৩) এবং একটি কাশ্মীরে (৪৬ থেকে ৪৭)। কমিশন জানিয়েছে, ২০১১ সালের জনসংখ্যার ভিত্তিতেই আসন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও অভিযোগ উঠেছে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে হিন্দুপ্রধান জম্মুতে মুসলিম প্রধান কাশ্মীর উপত্যকার তুলনায় বেশি আসন বাড়ানো হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, আগামী ২০ অগস্ট প্রকাশিত হবে জম্মু ও কাশ্মীরের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। এরই মধ্যে ভোট ঘোষণার আগে জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর ৮৮ জন সরকারি আধিকারিককে বদলি করায় প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিরোধীরা।